আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লাখ টাকা মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত পাঁচ কৃষকের চারজন

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ (কক্সবাজার) | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৪ মার্চ ২০২৪ ১১:০৮:০০ পূর্বাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহৃত স্থানীয় পাচঁ কৃষকের চারজনকে লাখ টাকার মুক্তিপণ নিয়ে রাতে ফেরত দিয়েছে৷। মুক্তিপণ পাওয়ার পর রবিবার (২৪ মার্চ) ভোর রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃতদের ফেরত দেয় সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূক্তভোগীর পরিবার। 

মুক্তিপন দিয়ে ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন- হ্নীলা পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)।

 

তবে আব্দুর রহিমের ছেলে মো নুর (১৮) কে এখনো ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা।  

এছাড়াও গত ৯ মার্চ অপহৃত স্কুল ছাত্রও উদ্ধার করা হয়নি এখনো। 

জানা গেছে, গেল বৃহস্পতিবার পাঁচ কৃষককে অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের ভাই মো শফিকের মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। অবশেষে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে চারজনকে ফেরত দিলেও মুহাম্মদ নুর নামে আরেকজনকে ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা। মুহাম্মদ নুরকে ফেরত দিতে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করছে অপহরণকারীরা। 

'মুক্তিপণের বিষয়টি আমার জানা নেই' উল্লেখ করে টেকনাফে মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, 'হ্নীলায় একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ে অপহরণকারীদের খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধাওয়া খেয়ে অস্ত্রধারীরা বাকি একজনকে নিয়ে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপহৃত পরিবার মুক্তিপণের জন্য কাউকে টাকা দিয়েছে কিনা সেটি তাঁরাই জানবেন।'

এদিকে গেল ১০ মার্চ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে ৭ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণকারীরা নিয়ে যায়। একদিন পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।

এর একদিন আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬)কে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সে শিশু সোয়াদকে এখনো  উদ্ধার করা যায়নি। 

এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।