রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় আলেম মুফতি আবদুল্লাহর হদিস নেই প্রায় ৩ বছর। ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই তাকে ‘গুম’ করা হয়। এ ঘটনায় আনজরশাহ নামক আরেক রোহিঙ্গা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেয়ে রাবেয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেয়ায় মুফতি আবদুল্লাহকে অপহরণ করা হয় বলে সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছে।
অভিযুক্ত আনজরশাহ মিয়ানমারের উত্তর মংড়ুর হাচারবিলের বাসিন্দা মৌলানা নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে টেকনাফ জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন রবি টাউয়ার এলাকার বাসিন্দা।
ক্যাম্প-১৫ এর জামতলি ‘এ’ ব্লক, সাব ব্লক এ ৮ এর বাসিন্দা হাজি খলিল আহমদের ছেলে মুফতি আবদুল্লাহ বালুখালী-১ ক্যাম্প-৯ এর একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি ৫ ছেলে মেয়ের জনক। মিয়ানমারে উচ্চশিক্ষা শেষে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন।
রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেনের খলিফা আনজরশাহ: রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত নবী হোসেনের খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে আনজরশাহ। বেশভুষায় ‘ভালো মানুষ’ মনে হলেও যত সব অপরাধীর সঙ্গে তার গভীর খাতির। কৌশলে চালাচ্ছে চোরাকারবারি।
ক্রস ফায়ারের ভয়ে বালুখালী ক্যাম্প-৯ থেকে মিয়ানমারে পালানো সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ শুক্কুইন্নার অবৈধ কারবারের অংশিদার আনজরশাহ। সব জানার পরও ভয়ে মুখ খোলেনা রোহিঙ্গা।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করে ডাকাত নবী হোসেন, মো. ইসলাম, মুন্না সিন্ডিকেট। তাদের বিক্রিত ইয়াবার টাকা উত্তোলন করে আনজরশাহ। নবী হোসেন, মুন্না ক্যাম্প-২২এ অবস্থান করতো।
ক্যাম্প-৯, ডি-৪ এর বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে লোক নিয়োগ করেছে ডাকাত নবী হোসেন। তিনি বর্তমানে মিয়ারে অবস্থান করলেও তার নিয়োগকৃতরা বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড ও রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অবস্থার খবরাখবর সংগ্রহ করে। তাদের বেতনভাতা প্রদান করে আনজরশাহ।
ক্যাম্প-২২ এর কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আনজরশাহ ঠকবাজ ও খুব ধূর্ত প্রকৃতির লোক। রয়েছে মাদক ও চোরাচালাতি সিন্ডিকেট। মুবাশশির নামক ঘনিষ্ট বন্ধু রয়েছে তার। যিনি স্বর্ণ, মাদকসহ এ পর্যন্ত ৩ বার ধরা পড়ে। ১০ মাস মতো আগে কারামুক্ত হন। সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কন্টাক্ট করে তাদের রোগি সাজিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করে থাকে মুবাশশির।
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনজরশাহ। তিনি বলেন, আমার বিষয়ে ক্যাম্পে এসে খোঁজখবর নেন। কারা অপপ্রচার করছে, কেন করছে জানবেন।