আজ রবিবার ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রামুতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় গুলি বর্ষণ, ইউপি চেয়ারম্যান আহত

ইমাম খাইর, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:১১:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজার ৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেয়া লোকজনের উপর হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। 

 

এসময় জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স আহত হয়েছেন। 

 

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টায় জোয়ারিয়ানালার মাদ্রাসা গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

 

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত  প্রার্থী সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে কয়েক শতকর্মী এই হামলায় অংশ নেয় বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

 

সহিংস ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

 

জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদ্রাসা গেইটে তিনিসহ অন্যান্যরা ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যান নৌকার প্রার্থী এমপি কমলের নেতৃত্বে কয়েকশত কর্মী। এমপি গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে এগিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন এগুলো এমপি অস্ত্র হাতে তাকে গুলি করার চেষ্টা করা হয়। এসময় জনতা তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন এমপি নিজেই। একই সঙ্গে এমপির সাথে থাকা লোকজন হৈ-চৈ করে স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উত্তেজিত জনগণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে। ঘটনাস্থলে পুলিশ-বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  

 

চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম আমার উপর হামলার প্রতিবাদ জানালে এমপির লোকজন আবারও ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন।

 

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, জোয়ারিয়ানালা আমার এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ।

 

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‍নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের পছন্দ মতে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রিন্স তাঁর পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অধিকার রাখেন। এখানে হামলা করাটা অন্যায় করেছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমি নৌকা পক্ষে শুরু থেকে কাজ করছি। প্রিন্স আওয়ামীলীগের নেতা। এই হামলার প্রতিবাদ জানান।

 

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ঘটনার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

 

উল্লেখ্য, এর আগে ২৭ ডিসেম্বর রামু বাইপাস এলাকায় ঈগলের একটি প্রচার গাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরের দিন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।