প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। পুকুর ও জলাশয় ভরাটের আইন লঙ্ঘন করে পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়া , বাচা মিয়া রোড এলাকায় পুকুর ভরাট করায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জনাব রুম্পা শিকদার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে ১২ জনের নাম উল্লেখ করেন রুম্পা শিকদার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর ভরাটের সত্যতা পান । আনুমানিক ৭২০০ বর্গফুট পরিমান পুকুর ভরাটের সত্যতা পাওয়া যায় । ইতেমধ্যে পুকুরটির পূর্বদিক বাদে বাকী অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে ।
পুকুরটির মধ্য অংশ বরাবর ইটের দেয়াল নির্মান করা হয়েছে এ প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিগনকে শুনানীর নোটিশ প্রদান করা হয় ১৮/০৭/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত শুনানী অন্তে পুকুর ভরাটকারীগনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । ১২ জন পুকুর ভরাটকারীকে চিহ্নিত করা হয়, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । আজ বৃহস্পতিবার কার্যালয়ের পরিদর্শক জনাব রুম্পা শিকদার বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিগনের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় দায়ের করেন । উক্ত মামলায় আসামীরা হলেন( ১ ) গোলতাজ বেগম , পিতাঃ এয়াকুব মিয়া (২ ) জনাব কবির আহমেদ (৩ ) জনাব সিরাজুল ইসলাম , ৪ ) জনাব শামসুল আলম ( ৫ ) জনাব মোঃ মোবারক ইসলাম , সর্বপিতাঃ মৃত হাজী ইউনুছ মিয়া (৬ ) জনাব নাসির ইসলাম (৭ ) জনাব আকতারুল ইসলাম , উভয় পিতাঃ আলী মিয়া (৮ ) জনাব মাছুদা খাতুন , পিতাঃ জনাব আবদুর রশিদ ) ৯ ) জনাব জাহানারা বেগম , স্বামীঃ মৃত আবু তালেব (১০ ) জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর ( ১১ ) জনাব মোঃ জসিম উভয় পিতাঃ মৃত নূর আহমদ (১২ ) জনাব মোঃ এরশাদ , পিতাঃ মোঃ ইউছুফ , সর্বসাং- ১২ নং ওয়ার্ড , সরাইপাড়া , বাচা মিয়া রোড , পাহাড়তলী বসবাসকারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক পুরনো পুকুরটি ছিল। পুকুরটিতে মাছ ছিল। কিছু মাছ ধরা হয়েছে, আর কিছু বালুচাপা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমানে পুকুরটির দুই পাশে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়া হয়েছে আশেপাশে অন্তত পাঁচশহ মানুষের ব্যবহার করছে এই পুকুরটি ।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
এলাকার লোকজন পুকুরের ভরাটের ব্যাপারে তাদেরকে বাধা দিলে দখলদার বাহিনী শক্তিশালী হওয়াতে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলিতে পারে না । আমরা জানি ইতিমধ্যে সরকার সহ মহামান্য হাইকোট কর্তৃক আদেশ আছে যে , পুকুর কিংবা জলাশয় ভরাট করা যাবে না । অতএব মহোদয় আপনি আইনের অভিভাবক হয়ে উক্ত ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর কাছে আকুল আবেদন জানাইতেছি ।
আপনার একটা অভিযানে মাইলের মাথা এয়ারপোর্ট রোড বন্দর এ অবস্থিত মেসার্স ডেনিম ওয়াশিং ইন্ডাস্ট্রিজ ওয়াশিং কারখানাটি গত ২৩/০৬/২০২২ তারিখ মহানগর কার্যালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠানটির ইটিপি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে ।এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশগত ছাড়পত্রও নেই । ইটিপি অকার্যকর রেখে ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে পরিবেশ দূষণ করে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন । পরিবেশ সংরক্ষন আইন , ১৯৯৫ এর ধারা -০৭ মোতাবেক এক লক্ষ নব্বই হাজার আশি টাকা ক্ষতিপূরন নির্ধারন পূর্বক ধার্য্যকৃত টাকা আগামী ০৭ দিনের মধ্যে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করা হয়।