আজ শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাঙ্গুনিয়ায় শিশুপুত্রসহ নিখোঁজ গৃহবধূ, পরকীয়ার টানে নিরুদ্দেশ দাবী স্বামীর

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:১১:০০ পূর্বাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম
নিখোঁজ গৃহবধূ রানু আক্তার ও তার পুত্র আব্দুল আল তামিম।

রাঙ্গুনিয়ায় ৭ বছরের এক শিশুপুত্রসহ রানু আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা পর্যন্ত তা কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্বজনরা। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন এই গৃহবধূ। উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড জমাদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সেই ওই এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র প্রবাসী মো. এমদাদ হোসেন প্রকাশ আক্তারের (৩৫) স্ত্রী। এই ঘটনায় স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও এক পরকীয়া প্রেমিকের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী আক্তার। এলাকাজুড়ে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৯ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী প্রবাসী আক্তারের সাথে পদুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নারিশ্চা এলাকার মো. কাশেমের মেয়ে রানু আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী বিদেশ চলে গেলে বুঝতে পারেন স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আশক্ত। এই নিয়ে স্থানীয় এলাকায় বিচার শালিস হয়। গত ৩১ জানুয়ারি সকালে সবার অগোচরে ব্যবহার করা একটি মুঠোফোন জব্দ করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যেখানে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলার এবং পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেদিন রাতেই স্বামীর কাছে পরকীয়ার জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি সকালে সবার অগোচরে ৭ বছরের শিশুপুত্র আব্দুল আল তামিমকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় গৃহবধূ রানু। যাওয়ার সময় ৩ ভরি স্বার্ণলংকার, নগদ ১৮ হাজার টাকাসহ নিয়ে যায় বলে জানান শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাকে খুজে পেতে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের সহায়তা চাইলেও তারা অপারগতা প্রকাশ করেন এবং উল্টো বকাবকি করেন।

এই ব্যাপারে গৃহবধূ রানুর মা আনোয়ার বেগম বলেন, "আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছিলো। সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলছে তারা। কোথায় গেছে, কি হয়েছে কিছুই আমি জানি না।"

 

এই ব্যাপারে তদন্তে যাওয়া শিলক তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর মো. সামশুদ্দিন জানান, "গৃহবধূ নিখোঁজের ব্যাপারে তদন্তে করে দেখা হচ্ছে। তাকে খুঁজে পেতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তাসহ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।"