আজ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে অতিথি পাখি শিকার

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৪৮:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

শীতের ভরা মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ায় চলছে নির্বিচারে অতিথি পাখি হত্যা। স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি এই পাখি হত্যার মিশনে লিপ্ত হয়েছে। বিষটোপ ও বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করে পাখি শিকারের ফলে অতিথি পাখিরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এই অঞ্চল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তাই দেখা নেই অতিথি পাখির। বেশ কয়েকদিন আগেও কোদালা চা বাগানে পাহাড়ের মাটির গর্ত থেকে একটি সজারু শিকার করে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা বালু চরে আধুনিক একনালা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে পরিযায়ী পাখি শিকার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক সার্জেন্ট আলমগীর চৌধুরী (আর্মি আলমগীর) নামে এক ব্যক্তি ও তার দুই সহযোগী প্রকাশ্যে দুইটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির অতিথি পাখি শিকার করে নিয়ে যায়।

পাখি গবেষক ও সাংবাদিক এনায়েতুর রহিম জানান, অতিথি পাখি দুইটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির। ইংল্যান্ডের আদিবাস বিলুপ্তপ্রায় ভাদি হাঁসের বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাঁস দুইটির ওজন প্রায় সাত কেজি। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে।

সম্প্রতি দেশের জীববৈচিত্র্য, পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এয়ারগান ব্যবহার বা বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৪৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। স্থানীয় প্রশাসন সচেষ্ট হলে পাখিগুলোকে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করছেন পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা।

 উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির জানান, অতিথি পাখি শিকার ও এয়ারগান ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি জেলা পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।