আজ সোমবার ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ই আষাঢ় ১৪৩১

রাউজানে ডাকাত চক্রের ১৪ সদস্য আটক

এম কামাল উদ্দিন, রাউজান: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:০৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ইসলামী ব্যাংকের নজুমিয়াহাট উপশাখার গ্রাহক ইদ্রিস নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)  ওই উপশাখা থেকে তিনি ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন। ইদ্রিসের মোটা অংকের টাকা লেনদেনের বিষয়ে ধারণা ছিল ইসলামী ব্যাংকের মদুনাঘাট নজুমিয়াহাট উপশাখার সাবেক পিয়ন মোসলেম উদ্দিন খান ওরফে সায়েমের। সায়েম তথ্য চেয়েছিল ওই উপশাখার বাবুর্চি তারেকের কাছ থেকে। শুধু তথ্য নয় ছবি সহ পাঠিয়েছিল তারেক। ডাকাতির মূল পরিকল্পনায় ছিলেন ডাকাত সর্দার সোহেল। ডাকাতির উদ্দেশ্যে চট্টমেট্রো- চ-১১-৬২১৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে আরও একটি নম্বরবিহীন এপার্চি মোটরসাইকেলযোগে ছুরি, কসটেপসহ নানা ডাকাতির সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তারা। ডাকাতদলের কিছু সদস্য  মোটরসাইকেল নিয়ে রেকি করছিল, বাকীরা মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছিল রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামস্থ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে র শেখ আলী “স”-মিলের সামনে। টহল পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় মাইক্রোবাসটি আটকে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয় থানায়।  এরপর বেরিয়ে আসে ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান দুই কর্মচারীর ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য। ডাকাত দলের ১৪জনের মধ্যে বেশিরভাগই ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রয়েছে ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র মামলার আসামী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহল (২৫), মোসলিম উদ্দিন খান ওরফে সায়েম (২৫), মো. আলী ওরফে হায়দার আলী (৩২), ব্যাংক বাবুর্চি মো. তারেক (২২), মো. মহিউদ্দিন (২৪), আবু সিদ্দিক (৩৬), মো. ইমন (২২), মো. আল কাদের শরীফ (২১), শহিদুল ইসলাম সাকিব (২৩), সাইফুল ইসলাম  সাকিব (২১), সজিবুর রহমান খান (২০), মো. সোহেল (২৪), মো. মোরশেদ (২৫), মো. শওকত আলম (২১)। তারা পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা শুধামাত্র সোহেল আনোয়ারা থানার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ০১টি ধারালো টিপ ছুরি, ০১টি ধারালো লম্বা রামদা,  ০১টি ধারালো লম্বা কিরিচ, ০২টি ধারালো ধামা দা, উদ্ধার করা হয়।

 নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টুটন মজুমদার বলেন, সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি আটকায়। সবার বাড়ি পটিয়া বলায় তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে মামলা রুজু শেষে আদালতে সোপর্দ করেছি। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।