আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোতয়াল্লীকে বের করে মসজিদ দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, আনোয়ারা : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৫:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মসজিদের মোতাওয়াল্লী

আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের উত্তর সৈয়দকুচাইয়া বায়তুল করিম জামে মসজিদে মোতাওয়াল্লীকে লাঞ্ছিত করে মসজিদ দখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার জসিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মসজিদের মোতাওয়াল্লী মো. আমির হোসেন বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কালাবিবি দীঘির মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মসজিদের মুসল্লীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মোতয়াল্লী মো. আমির হোসেন ও তার পুত্র মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মসজিদের জমিদাতা মৃত লাল মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আবু তাহের, মোহাম্মদ জুয়েল, মুসল্লী আবুল কালাম, নুরুল আজিম, আজগর আলী, গুরামিয়া, কাজী তৌহিদুর নুর বাহারসহ মসজিদের মুসল্লীরা।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোতয়াল্লী মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমার পিতা মরহুম আব্দুল করিম মৌখিকভাবে ১৯৫২ সালে ৬ শতক জমি মসজিদের ওয়াকফ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে আমি এবং আমার ভাই ও আমার  চাচা লাল মিয়া মোট ৯শতক বা সাড়ে ৪ গন্ডা জমি রেজিষ্ট্রিযুক্ত কবলামূলে ওয়াকফ করেন। ওয়াকফ নামায় মোতয়াল্লী হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করেন। সেখানে একটি এবাদতখানা ও পরবর্তীতে সেটি জামে মসজিদে রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে আমি মসজিদের মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। গত ৫-৬ বছর ধরে স্থানীয় একটি চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে   জোরপূর্বক  দখলের চেষ্ঠা করেন। এর জের ধরে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের দানকৃত টাকার হিসাব করার সময় অভিযুক্তরা টাকা গুলো কেড়ে নেন এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিসহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এসময় স্থানীয় মুসল্লীরা বাঁধা দিলে একই এলাকার জসিম উদ্দিন, মো. আরিফ, মো. মোজাম্মেল হক ফারুক, মামুনুর রশিদ ও বিলপুর এলাকার মো. ফারুকসহ বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে মসজিদের টাকা কেড়ে নিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেন মোতয়াল্লীসহ মুসল্লীদের। তারা মসজিদের দানকৃত দেড় কানি জমির মাটি বিক্রি করে দেয়। আমরা প্রশাসনসহ সংস্লিষ্ট সকলের নিকট ঘটনাগুলো সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই।

 স্থানীয় মুসল্লি কাজী তৌদিুননুর বাহার বলেন ,মসজিদে আমার  ছেলে কাজী মসজিদে আযান দিলে নুর মোহাম্মদ প্রকাশ নওশা অকথ্য ভাষায়  গালিগালাজ করেন। তারা মসজিদটি দখল করে রাখতে চায়।

জমিদাতা লাল মিয়ার পুত্র আবু তাহের বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার,মোতাওয়াল্লী এবং সাধারণ মুসল্লিদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদের দানবাক্স্রের টাকাসহ সবকিছু নিজেরা জোর করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করে।

এদিকে অভিযোগের  বিষয়ে  মোজাম্মেল হক ফারুককের নিকট জানতে চাইলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে মিত্যা ষড়যন্ত্র।