আজ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ নভেম্বর

মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও দুইজন

ইমাম খাইর, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : বুধবার ২ নভেম্বর ২০২২ ০৩:০৪:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো দুইজন। তারা হলেন, কাশেম মিয়া ও নিহত মুহিব্বুল্লাহর ভাই আহমদ উল্লাহ। বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেছে আদালত। গত সোমবার প্রথম সাক্ষ্য প্রদান করেন মামলার বাদী ও নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। পরের দিন নুরে আলম ও হামিদ মাঝি সাক্ষ্য দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, মঙ্গলবার সাক্ষ্যদানকালে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক আসামি স্বাক্ষী নুরে আলমকে হাতের ইশারায় হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালতের বিচারক আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন। এ ঘটনা আদালতে বুধবার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যুচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীদের এক গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকদারিদের গুলিতে নিহত হন। হত্যাকান্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এতে সাত জনের নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানী শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। বর্তমানে মুহিবুল্লাহ’র পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।