কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় এক অসহায় পরিবারকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ‘বানিয়ে দেওয়ার’ কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমরুল কায়েস বুলবুল নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে।
প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কুতুবদিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে প্রয়াত হিমাংসু বিমল শীলের কন্যা রাধীকা রানী শীল।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ঘাটকুল পাড়ার মৃত শেখ মকবুল আহমদের পুত্র ইমরুল কায়েস বুলবুল নিজেকে সত্যের সন্ধ্যানে জনস্বার্থে দুর্নীতি দমনে তথ্য প্রকাশকারী সংস্থার সমগ্র বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে একই ইউনিয়নের প্রয়াত হিমাংসু বিমল শীলের নামে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ঘর আনিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁর পরিবার থেকে সাড়ে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর এক মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার কথা বললেও টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক বুলবুল।
হিমাংসু বিমল শীলের কন্যা রাধীকা রানী শীল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার বাবা হিমাংসু বিমল শীল একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তার নামটি চুড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি, বাবা বেচে থাকতে অনেক চেষ্টা করেছেন তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য, বুকভরা কষ্ট নিয়ে ২০১৯ সালে তিনি মারা যান, এলাকার সবাই জানে আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবার পরিচিত হওয়ায় ইমরুল কায়েস বুলবুল মুক্তিযোদ্ধার সনদ এনে দিবেন বলে, আমাদের কাছ থেকে সাড়ে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে টাকা সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে, এই প্রতারকের শাস্তি দাবী করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস বুলবুল টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,হিমাংসু একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, তাঁর পরিবার কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাদেরকে সহযোগীতা করতে করেছেন বলে দাবী করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ এনে দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ইমরুল কায়েস বুলবুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাধীকা রানী শীল নামের এক নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমানিত হলে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।