রেস্টুরেন্টে খাদ্য মূল্যের তালিকা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও লাইসেন্স না থাকায়, নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণে মিরসরাই উপজেলার ৯টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও ৩টি বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার ও হোটেল রেস্তোরা আইনে হোটেল ও বেকারি মালিকদের অর্থদন্ড দিয়েছেন।
উপজেলার বড়তাকিয়া, আবুতোরাব ও পূর্ব মায়ানী এলাকায় অভিযানে ৯টি হোটেল-রেস্টুরেন্টকে ৯ হাজার ৫’শ টাকা ও ৩টি বেকারির বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স, কোন ধরনের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৩টি বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে মিরসরাই ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন মক্কা হোটেলের মালিক মো. শহীদুল আলমকে ১ হাজার টাকা, বড়তাকিয়া বাজারের সূর্য্য বণিক মিষ্টি ভান্ডার, হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক বিপ্লব বণিককে ১ হাজার, মক্কা হোটেলের মালিক মহরম আলী শিপনকে ১ হাজার, তাজমহল রেস্তোরা এন্ড বিরানী হাউজকে ১ হাজার, জমজম হোটেলের মালিক মফিজ উদ্দি রিপনকে ১ হাজার, আবুতোরাব বাজারের বারবিকিউ রেস্টুরেন্টের মালিক আহসান উদ্দিন সুমনকে ১ হাজার, মদিনা হোটেলের মালিক মোহাম্মদ সোহাগকে ২ হাজার, রয়েল ব্রাইট রেস্টুরেন্টের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫’শ টাকা ও ইরানী কাবাব এর মালিক আমজাদ হোসেনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আবুতোরাব বাজারের নিউ শহিদ বেকারির মালিক শওকত আলীকে ৫ হাজার, গনি বেকারির মালিক আবুল বশরকে ৫ হাজার টাকা ও পূর্ব মায়ানী রাবালিপোল এলাকার ইসপা বেকারিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বেকারিরগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। একটাতেও কোন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, অনুমোদনপত্র, বিএসটিআইয়ের লাইন্সেন নেই। আমি অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অবাক হয়েছি এতো নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৯টি হোটেল, ৩টি বেকারিকে ভোক্তা অধিকার ও হোটেল রেস্তোরা আইনে ২৪ হাজার ৫’শ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।