মিরসরাইয়ে সাপের কামড়ে সীমান্ত নাথ নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল বাড়ির সামনে তাকে সাপ কামড় দেয়। সীমান্ত উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের কান্তি নাথের ছেলে। সে জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
সীমান্তের চাচাত ভাই সৌরভ চন্দ্র জানান, সাপে কামড়ানোর পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। বিষধর সাপ না সাধারণ সাপে কামড় দিয়েছে তা জিজ্ঞেস করেন; আমরা জানি না বললে ডাক্তার বলেন, তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সীতাকুন্ড পার হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চমেক হাসপাতালে পৌঁছালে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে বুধবার রাত ৩টায় তাকে দাহ করা হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন জানান, সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আনার পর তাকে কি বিষধর সাপ কামড় দিয়েছে না সাধারণ সাপ কামড় দিয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা লাগে। এন্টিভেনম দেওয়ার পর রোগীর অবস্থা শঙ্কাটাপন্ন হলে আমরা রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করি। সীমান্ত নামের ওই রোগীকে হাসপাতাল আনার পর জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। কিন্তু তার পরিবার কাউকে না বলে চট্টগ্রাম মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। পরবর্তীতে শুনেছি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে চমেক নেওয়া হয় এবং পথে তার মৃত্যু হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে গত মাসে প্রায় ৯০ জন সাপে কাটা রোগী আসলে পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বেশীর ভাগই বিষধর সাপে কাটা নয়। যেখানে শুধুমাত্র ১জনকে এন্টিভেনম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে হাসপাতালে ২ জন রোগীর জন্য ২০টি এন্টিভেনম ভ্যাকসিন সংরক্ষণে রয়েছে। আরো ৫জন রোগীর জন্য ৫০টি এন্টিভেনম ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।