আজ বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে শীলাবৃষ্টিতে অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে কাল বৈশাখী ঝড় ও শী¬¬¬লাবৃষ্টিতে অসংখ্য ঘর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। খুঁটি ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বজ্রপাতে কৃষকের তিনটি গরুর মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বোরো ধান, তরমুজ, ডাল, টমোটোসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোররাতে প্রায় দেড় ঘন্টা পর্যন্ত বজ্রপাত, ঝড়ো বাতাস ও শীলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকে। এছাড়া বিভিন্ন বাসা, বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বজ্রপাতে অনেক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নষ্ট হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় শীলাবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে অনেক বাড়ি ঘরের টিনের চাল উপড়ে গেছে। উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। 

436772067_953334492720196_3686750248299828159_n

রহমতাবাদ এলাকার বাসিন্দা নুরুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে বজ্রপাতে আমার এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান, রেজাউল করিম ও আবুল হাসেমের তিনটি গরু বজ্রপাতে মারা যায়। গরুগুলো বাড়ির অদূরে চরে বাঁধা ছিল। সকালে গিয়ে দেখতে পান গরুগুলো মাটিতে পড়ে রয়েছে। মারা যাওয়া গরুর মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা হবে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের হাসিমনগর এলাকার কৃষক শহীদুল ইসলাম বলেন, খেতে তোলার উপযোগী ২০ মণের মতো পাকা টমেটো ছিল। আজ ভোরের শিলাবৃষ্টিতে বেশির ভাগ টমেটো নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলার ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি লিটন চন্দ্র নাথ বলেন, শিলাবৃষ্টিতে অনেক বাড়িতে ঘরের টিনের চালায় বড় বড় ফুটো তৈরি হয়েছে। সকাল থেকে ঘরের টিন বদলানোর কাজ করতে অনেক বাড়ি থেকে ডাক আসছে। 

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের শীলাবৃষ্টিতে আবাদকৃত বোরো ধান, গ্রীষ্মকালীন সবজি ও ডালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৯৫০ হেক্টর জমির বোরো আক্রান্ত হয়েছে। তারমধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৪৫ হেক্টর জমির ধান। ৪০ হেক্টর জমির গ্রীস্মকালীন সবজি আক্রান্ত হয়েছে, তারমধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৮ হেক্টর জমির সবজি। ৭৫০ হেক্টর জমির ডালক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে, ক্ষতি হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমির ডাল। 

 

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, বৃষ্টি হলে তেমন ক্ষতি হতোনা। শীলাবৃষ্টির কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে। বৃষ্টি যদি আর না হয় তাহলে আক্রান্ত জমির ধান ও ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। যদি আবারো বৃষ্টি হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।