আসন্ন শারদীয়া দূর্গাপূজা সহ মিরসরাইয়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জিপিএস লোকেশন তৈরী করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অপকা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে জিপিএস লোকেশন সংবলিত বই উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের হাতে অর্গানাইজেশন ফর দ্যা পুওর কমিউনিটি এ্যাডভান্সমেন্ট (অপকা) এর পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয়।
অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে এনজিও প্রতিনিধিদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে জিপিএস লোকেশন তৈরী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, গীর্জার জিপিএস লোকেশন সংবলিত একটি বই অপকার পক্ষ থেকে তৈরী করা হয়।
তিনি আরো বলেন, জিপিএস লোকেশন সংবলিত বইটি বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন, সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) এর কার্যালয়, সেনাবাহিনীর মিরসরাই ক্যাম্প, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাদের ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম শিফাতুল মাজদার এর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা সোহাগ, যুবদল নেতা ইফতেখার মাহমুদ জিপসন।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাদের ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত মন্দির, গীর্জার জিপিএস লোকেশান তৈরী হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহায়তার জন্য অপকাকে ধন্যবাদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, জিপিএস লোকেশনের সহায়তায় যেকোন স্থানে দ্রæত পৌঁছানো যায়। অপকা কর্তৃক উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, গীর্জার জিপিএস লোকেশন তৈরী করায় দূর্গাপূজা সহ অনাকাঙ্খিত যেকোন ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।