আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে চাঁদার দাবীতে যুবকের উপর হামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৯ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

 

ভবন নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় রাসেল নামে এক প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ওয়ার্লেস এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। রাসেল ওই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে। মো. আবুল কাশেম জানান, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উত্তর তালবাড়িয়া জামালের দোকান এলাকায় পৈত্রিক জমিতে ২ মাস পূর্বে বিøডিং (পাকা) ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন ছাড়া ঘরের কাজ করা যাবেনা মর্মে তাতে বাঁধা দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন। ঘরের কাজ করতে হলে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। আমি তাকে ৫০ হাজার টাকা দিই। পরবর্তীতে সে আরো সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাবী করে। তার দাবীকৃত বাকী টাকা পরিশোধ না করায় গত ৬ নভেম্বর ইউপি সদস্য মামুন সহ তার বাহিনীর লোকজন ধারালো অস্ত্রনিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায় ও নির্মাণাধীন ভবনের ক্ষতি করে। এসময় সে আমার ছেলে প্রবাসী রাসেলকেও দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিই। থানায় অভিযোগ করায় মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার ছেলে রাসেলকে জামালের দোকান থেকে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় নিয়ে মারধর করে। এসময় রাসেলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মিরসরাই থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে শিপন নামে একজন কে অস্ত্র সহ আটক করলেও পুলিশ পরে তাকে ছেড়ে দেয়। প্রবাসী রাসেল জানান, ইউপি সদস্য মামুনকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরও বাকী সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য সে আমার বাবাকে বিভিন্ন সময় হুমকী দিয়ে আসছে ঘরের কাজ বন্ধ করে দিবে বলে। আমি কয়েক মাস আগে ডুবাই থেকে এসেছি। মামুনের কথামতো বাকী টাকা না দেওয়ায় ও থানায় অভিযোগ করায় ক্ষুব্দ হয়ে সে আমাকে মেরে ফেলার জন্য অপহরণ করে। এসময় আমার আত্মচিৎকারে পুলিশ আসলে তারা আমাকে আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। হামলার বিষয়ে থানায় অভিযোগ না দেওয়ার জন্য মামুন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী দিচ্ছে। মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় আবুল কাশেম আমার বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার যে অভিযোগ করছে তা স¤পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার সাথে কাদের দন্ধ আছে তা আমি জানি না। সোমবার সন্ধায় আমিও মিরসরাই থানার ৩ এসআই আতিউর, রাজিব ও সিরাজ ওয়ার্লেস এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন রাসেলের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা তাকে উদ্ধার করি। তাকে যারা মারছে তারা তখন পালিয়ে গেছে। আমি অপহরণ বা চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নই। মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, প্রবাসী রাসেলের উপর হামলার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।