আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে চাঁদার দাবীতে বৃদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৪৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে চাঁদা না পেয়ে মোছাম্মৎ খালেদা আক্তার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের মরগাং গ্রামে ইসমাঈল মেম্বার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাড়ীর মৃত মো. এছাকের স্ত্রী। খালেদা আক্তার ওচমানপুর ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও তাঁর স্বামী মৃত মো. এছাক একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে ভুক্তভোগী বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিরসরাই ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, বুধবার সকালে আমাদের একই বাড়ির মৃত মো. ইসমাঈল মেম্বারের ছেলে মো. নুরুল আবছার ও পাশ^বর্তী বাড়ির মৃত জালাল আহমদের ছেলে মো. জিয়া উদ্দিন আহমদ ফরহাদ আমার কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে এলাপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে গেছে। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করার পর ৭ আগস্ট বিকালেও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মো. নুরুল আবছার ও মো. জিয়া উদ্দিন আহমদ ফরহাদ আমার কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিলো। তাঁদের কাঙ্খিত চাঁদার টাকা না দিলে আমাদের পরিবারের সবাইকে মেরে লাশ গুম করার পাশাপাশি আমাদের মৎস্য প্রকল্পের মাছ লুট ও দখলের হুমকী দিয়েছিলো। চাঁদার পাশাপাশি বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তারা আমাকে হুমকী দেয়। 

খালেদা আক্তারের মেঝ সন্তান ইলিয়াছ মাসুক বলেন, নুরুল আবছার সম্পর্কে আমার জেঠাত ভাই হয়। সম্পত্তির বন্টন নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সাথে বিরোধ করে আসছে। তার সাথে একত্র হয়ে মো. জিয়া উদ্দিন আহমদ ফরহাদ সহ আরো কয়েকজন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মা ও ছোট ভাইকে মারধর করে এবং ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বাড়িতে আমার মা আর ছোট ভাই থাকেন। পরবর্তীতে মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। মো. জিয়া উদ্দিন আহমদ ফরহাদের অত্যাচারে অতিষ্ট পুরো গ্রাম। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তিনি। 

চাঁদা দাবী ও মারধরের বিষয়ে মো. নুরুল আবছার বলেন, তারা (খালেদা আক্তারের পরিবার) দীর্ঘ ১৭ বছর আমাদের উপর নির্যাতন করে আসছে। পারিবারিক সম্পত্তির সঠিক ভাগ বন্টন না করে জবর দখল করে রেখেছিলো। আমি চাঁদা দাবী করেছি মর্মে গত ১০ আগস্ট তারা আমাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলো। বুধবার সকালে আমার চাচীর (খালেদা আক্তার) কাছে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে। এঘটনায় আমিও সেনাবাহিনীর মিরসরাই ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছি।