মিছিল, সমাবেশ কিংবা রাজপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোন কর্মসূচী হলে অগ্রভাগে উপস্থিত থাকতেন মো. জাফর (৪৭)। শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধি হলেও বিএনপির সকল কর্মসূচীতে উপস্থিত হতেন জাফর। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রæতগতির অজ্ঞাত কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত ১০ টার মারা যান। নিহত জাফর উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের আবুতোরাব মাষ্টারপাড়া এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র। পারিবারিক জীবনে তার দুই ভাই ও মা রয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাযায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মানুষের সমাঘম ঘটে। অনেকে তাকে হারিয়ে কান্না করতে দেখা গেছে। জানাযায পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, আবুতোরাব কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা আবু জাফর নিজামী, মিরসরাই প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম মাঈন উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন মিলন। মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. আলা উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় জাফর মারা যাওয়ার খবরে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সে বিএনপির একনিষ্ঠ সমর্থক ছিল। দলের মিছিলে সবার সামনে দিয়ে থাকতো সব সময়। রাতে অনেক সময় দলীয় কার্যালয়ে সে ঘুমাতো। শুক্রবার সকাল বিকেল ৩টায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেকে মারা গেছে। পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।