আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে এসএসসি ৯৩ ব্যাচের রি-ইউনিয়ন সাবেক সহপাঠীদের বাঁধভাঙা উল্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাইঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

 

‘বন্ধুত্বের মধুরতায় হাসি তামাশা থাকুক কারণ শিশিরের ছোট্ট পোকায় হৃদয় তার সকাল খুজে পায় এবং সতেজ হয়’ এই ছন্দকে সামনে রেখে শুক্রবার মিরসরাই উপজেলার প্রায় ৫’শর অধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠে মিরসরাই উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া ইকোপার্ক। পরিচিতি পর্ব, নৌকা ভ্রমন, দুপুরের খাবার, নাচ-গান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমরা ৯৩ ব্যাচ মিরসরাই একটি ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ খোলা হয়। সেখানে যুক্ত হয় পুরো উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের বন্ধুরা। আমরা ৯৩ ব্যাচের মিরসরাই পূর্ণমিলনীতে ছিলো বাধভাঙ্গা উচ্ছ¡াস। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে পেয়ে সেলফি তোলা, পুরোনোর স্মৃতির গল্পগুজব, স্কুল জীবনের স্মৃতি আওড়ানো, সংসার জীবনের বর্তমান ব্যস্ততা সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত আড্ডা ছিলো মহামায়ার লেকজুড়ে। সবার গায়ে ছিলো একই রঙের টি-শার্ট ও হাতে ছিলো গিফট ব্যাগ। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় বন্ধুরা একে অপরকে পেয়ে আনন্দ উচ্ছ¡সিত হয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে। বন্ধুত্বের সীমানা ছাড়িয়ে যায় উপজেলার সব শিক্ষার্থী। এসএসসি-৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিভিন্নজন নানা পেশায় চলে গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, বড় রাজনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার, কেউবা আবার শিক কিংবা ব্যবসায়ী। কেউ বা আবার প্রবাসী। কিন্তু পরিচয় সবার যেন একটা সেটা হলো আমরা স্কুল বন্ধু। রি-ইউনিয়নের মূল আয়োজক ছিলেন, এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের বন্ধুরা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাশেদ খান চৌধুরী, জামশেদ আলম, সাইফুল্লাহ দিদার, সিরাজুল ইসলাম সুমন, আজিম উদ্দিন, মহসিন চৌধুরী নয়ন, এএসএম সেলিম, মীর হোসেন মামুন, মো. শামীম ও মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে সব বন্ধু মিলে আমাদের এই ব্যাচকে সাংগঠনিক রূপের মাধ্যমে সকল বন্ধুদের একত্রিত করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে বন্ধুদের সহায়তা, মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা, বন্ধুদের যেকোনো বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকা ও রাষ্টীয় কোন দূর্যোগে মানবিক কর্মকান্ডে মানুষের পাশে থাকবে। সবশেষে বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গান পরিবেশন করেন বাউল সম্রাট ফকির সাহাব উদ্দিন ও তার দল।