বসন্ত বরণে শীতের বিদায়ে পিঠাপুলির উৎসব আয়োজন করলো মিরসরাই কলেজ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উৎসবকে ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। মাঠের বিভিন্ন স্টলে ছিল হরেক রকম পিঠার পসরা। পিঠা উৎসব দেখার জন্য সকাল থেকে মিরসরাই কলেজে ভীড় জমান শিক্ষার্থী, দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, মিরসরাই কলেজের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে ২৭ টি স্টলে প্রায় শতাধিক আইটেমের গ্রামীণ পিঠা শোভা পায়। নতুন প্রজন্মকে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহি পিঠার সাথে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য এমন আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে কলেজ মাঠে বিভিন্ন স্টলে গিয়ে দেখা যায়, কেউ পিঠা খাচ্ছেন, কেউ দেখছেন। আবার কেউ বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে এসেছেন পিঠা উৎসবে। স্টলগুলো সাজানো হয়েছে ডিম সুন্দরী পিঠা, ডিম বিস্কুট পিঠা, মানর প্যাচ, সেমাই পিঠা, ভাপা পিঠা, ঝাল পোয়া, চালের নাড়ু, নারিকেলের সন্দেশ, ছাচের পিঠা, জাল পিঠা, তিলের পিঠা, দাঁতের পিঠা, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটি সাপটা, মধুভাতসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা বসিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সহ-সভাপতি সাবেদুর রহমান সমু। মিরসরাই কলেজের অধ্যাপক উত্তম কুমারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, নিজামপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ জাফর উদ্দিন, মহাজনহাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক, মিরসরাই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য তৌফিকুর রহমান, মিরসরাই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার জামান সিফাত, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিফনসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রভাষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার বলেন, বিলুপ্তপ্রায় নাম না জানা পিঠাগুলো নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে প্রায় ২৭টি স্টল প্রদর্শন করা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে সেরা ৩টি স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। সবশেষে কলেজের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পিঠা উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।