আজ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফের বদল

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্তভার পেয়েছেন নতুন কর্মকর্তা। আগের তদন্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির কারণে পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুককে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার মামলাটি এতদিন তদন্ত করে আসছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন সেলিম। এক মাসের মধ্যেই তার স্থলে ওমর ফারুককে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের কথা নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। তিনি বুধবার গণমাধ্যমে জানান, আগের কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে। এ কারণে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে ওমর ফারুক বলেন, মামলার ডকেট বুঝে নিয়েছি। তদন্তসংশ্লিষ্ট নানা কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন মিতু। তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গ্রেফতার হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।

 

গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার। পরে এই মামলায় ফেসে গিয়ে পুলিশের চাকরি হারান বাবুল আক্তার।

 

এর পর মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বাবুলকে আসামি করে মামলা করেন। গত ১২ মে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই মামলা তদন্তের শুরু থেকে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। পিবিআই থেকে বদলি হয়ে গত ১৮ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশে যোগ দিয়েছেন, বর্তমানে সিএমপি খুলশী থানার ওসির দায়িত্বে আছেন।

 

২২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল পরিদর্শক মহিউদ্দিন সেলিমকে। মামলার তদন্তভার নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মহিউদ্দিন সেলিম সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান।

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়