আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গা কর্মসূচিতে স্থানীয় অংশীজনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৫৬:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

 

মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ সাধন করা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাগুলির ব্যাপারে শ্রদ্ধা সুদৃঢ় করার ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করেছেন আলোচকবৃন্দগণ। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক উখিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাব সম্মেলন কক্ষে “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় ও সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে এবং নিঃসন্দেহে সেটি প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সভায় জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাজাপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব নুরুল কবির এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, শাহপুরী থানা হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও উখিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সেমিনারে ইউনিয়য়িন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, যুব সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ মোট ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসসিপি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মোঃ মনিরুজজামান। সেমিনারে শিক্ষক প্রতিনিধিগণ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থানে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এই অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট ক্ষতি সাধিত হয়। তাই আমাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে যেন অন্যের মানবাধিকার লঙ্গন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। আগামী দিনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী বলেন, মানবাধিকার ও শরণার্থী অধিকারের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করা, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের মধ্যে বিদ্যমান সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের আগ পর্যন্ত তাদের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষিত রাখতে সকলকেই সচেতন হতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এবছর এ দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল” বা “সবার জন্য মর্যাদা, মুক্তি ও ন্যায় বিচার”। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার সাথে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। আমাদের সকলেরই মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কারো দ্বারা মানবাধিকার যেন লংঘিত না হয়। শাহপুরী থানা হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সবার উপর মানুষ সত্য শীর্ষক সেমিনারে বলেন, আমাদের সকলের মানবাধিকার সুরক্ষায় মানবাধিকার কর্মী হতে হবে। মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে হাইওয়ে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেমিনারে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কোস্ট আইএসসিপি প্রকল্পের মোঃ সাহাজাহান, জুলফিকার হোসেন ও মিজানুর রহমান বাহাদুর।