আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

মাত্র ২ মাসে পাল্টে গেছে আইনশৃঙ্খলার চিত্র বাঁশখালীর সি এন জির চাঁদাবাজি বন্ধ করায় প্রশংসায় ভাসছে ওসি তোফায়েল

এম শফিউল্লাহ , বাঁশখালী : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮:৪৬:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে কঠোর নিরাপত্তায় ইতিহাস সৃষ্টি করা নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় সাধারণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ। গত ১০ ডিসেম্বর বাঁশখালীতে যোগদানের অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের ভালবাসা ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তার যোগদানের পর থানায় দালালদের আনাগোনা কমে গেছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বি়ভিন্ন অনলাইন ও ভূয়া পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয়ধারী জামাত শিবির কর্মীদের যাতায়াত একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরা। আগে থানায় মাদকসেবি দালাল ও সাংবাদিক নামধারী কিছু টাউট সব সময় থানায় গিজ গিজ করলেও এখন এসব মুক্ত নিরিবিলি পরিবেশ দেখতে পাচ্ছে মানুষ। ফলে ওসিকে মন খোলে প্রাণ খুলে নিজের অভিযোগ সমস্যা জানাতে পারছে থানায় আগতরা। মাত্র ২ মাসেই থানার চিত্র পাল্টে দেয়ার পাশাপাশি অপরাধীদের জন্য বড় আতংক হয়ে আবির্ভূত হয়েেছেন তিনি। ওসি তোফায়েলের সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে গেল ৭ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তার কঠোর ভূমিকার কারণে শত বাঁধা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও বাঁশখালীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এলাকার ভোটাররা। এর আগে বিগত বেশ ক'টি নির্বাচনে মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারেনি। অনেক সময় একজন বিজয়ী হলে আরেকজনকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগও আছে বাঁশখালীতে। বিশেষ করে ইউপি ও পৌর নির্বাচনগুলোতে চলত টাকা ও পেশি শক্তির খেলা। কিন্তু দীর্ঘ দিন পর হলেও ওসি তোফায়েলের কারণে বাঁশখালীতে নিরপেক্ষ ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচন দেখতে পেয়েছে এলাকাবাসী। নির্বাচনে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার পিছনের কারিগর ছিলেন ওসি তোফায়েল আহমদ। এজন্য মানুষ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তিনি আপোষহীন না থাকলে হয়তো এবারও বাঁশখালীর ভোটের রেজাল্ট ওলট পলট হয়ে যেত। মানুষ ভোট দিত একজনকে আর বিজয়ী হত একজন। এমন ভয়াহত যুগের অবসান ঘটিয়েছেন ওসি তোফায়েল আহমদ। অবশ্যই উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল খালেক পাটোয়ারীসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারাও বাঁশখালীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তারাও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু মাঠ প্রশাসনে আইনশৃঙ্খলার কাজটি যেহেতু ওসির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয় তাই মানুষ ওসি তোফায়েল আহমদের ভূমিকাকেই মুখ্য হিসেবে দেখছে এবং তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় জন্ম নেয়া ওসি তোফায়েল আহমদ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সীতাকুণ্ড মডেল থানা থেকে বদলি হয়ে বাঁশখালীতে আসেন। যোগদান করেই বাঁশখালীতে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে তিনি বাঁশখালীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ মাদক সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাস মাদক ও রাজনৈতিক আগুন সন্ত্রাসের প্রশ্নে আপোষহীন হয়ে দায়িত্ব পালন করতে চাই।

এর মধ্যে বাঁশখালীতে সিএনজি অটোরিকশা থেকে টোকেন বানিজ্য ও চাঁদাবাজি হত, তা সম্পুর্ন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ওসি বলেন, কেউ চাঁদাবাজি করলে টোকেন বানিজ্য করলে সরাসরি আমাকে জানাবেন। পারিবারিক জীবনে ২ সন্তানের জনক ওসি তোফায়েল সহকর্মী ও কর্মস্থলে দাপুটে ওসি হিসেবে পরিচিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকারী ওসি তোফায়েল বলেন, আমার কারণে যেন কোন নিরীহ মানুষ কষ্ট না পায় সেটাই আমার টার্গেট। দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ। মানুষের কল্যাণ সাধন করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্ম। তিনি জানান, চাকরি ক্ষেত্রে পুলিশের পেশাটা আজ এখানে কাল ওখানে। বদলি একটি নিয়মিত ঘটনা। বাঁশখালীতে যতদিন থাকি আমার মাধ্যমে যাতে কোন মানুষের কষ্ট না হয় অসহায় মানুষ যাতে ন্যয় বিচার পায় সেটাই আমার বড় টার্গেট।