আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

মহেশখালীর প্রাণহীন কোহেলিয়া নদী! প্রায় ৪ হাজার জেলের কাজ নেই

সরওয়ার কামাল, মহেশখালী : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৬:৫৩:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

মহেশখালীতে কোহেলিয়া একটি নদীর নাম। যে নদীর উপর ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ৪ হাজার জেলে। এই নদী কে কেন্দ্র করে জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছে। নদীতে মাছ আহরন করে শত বছরের অধিক সময় সংসার চালাচ্ছে জেলে পরিবার গুলো। পূর্ব পুরুষদের আদি পেশাকে আকঁড়ে ধরে বেঁচেছিল এতদিন। কিন্তু হঠাৎ কোহেলিয়া নদী নির্ভর জেলেদের জীবনে দুঃসময় নেমে আসে। কয়েক বছরের মধ্যে এক সময়ের জীবন্ত বাণিজ্যিক নদীটি ভরাট হতে শুরু। কোহেলিয়া নদী কে এখন মৃত্যু বললে চলে। কোহেলিয়া নদীটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া, হোয়ানক, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে অবস্থিত। এই নদী কে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই এলাকার সভ্যতা। নদীর সঙ্গে মিতালি করে যেন  কাটে কয়েক লাখ মানুষের জীবন। জেলেদের দাবী ২০১৬ সালের পর থেকে কোহেলিয়া নদী ভরাট হতে শুরু। কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বর্জ্য ও পলিমাটি সরাসরি নদীতে এসে পড়ে। যার কারণে নদীটি ভরাট হয়ে যায়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা মহেশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মোসাদ্দেক ফারুকী বলেন, কোহেলিয়ার মৃত্যুতে জেলে পরিবারে হাহাকার চলছে। কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে কোহেলিয়া নদী ভরাট হয়ে এখানকার মানুষের জীবনে কষ্ট নেমে এসেছে। নদীতে মাছ ও মাছের পোনা পাওয়া যায় না।নদীর বুক ছিঁড়ে প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। নদী আরো দ্বিগুণ গতিতে ভরাট হচ্ছে। জেলেদের দুঃসময়ে স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি সহযোগিতা করছে না। এবং প্রকৃত জেলেরা সরকারী কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। নদী রক্ষায় স্থানীয়রা আন্দোলন করলে ও নিশ্চুপ ভূমিকায় থাকে জনপ্রতিনিধি ও প্রয়াসনের লোকজন। মহেশখালী জনসুরক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, পলি জমার কারণে কোহেলিয়া নদীতে ট্রলার ও নৌকা চলতে পারে না। মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, কোহেলিয়া নদী কে বাঁচাতে খনন কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত কাজ শুরু করবে। প্রথম পর্যায়ের বন্দর নির্মাণের কাজ শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো একটি বন্দর নির্মাণ করা হবে। যেটি কোহেলিয়া নদীর উপরে করার পরিকল্পনা আছে।