মহেশখালীতে একটি হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদকে আসামী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (২০ই আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ঐতিহাসিক বটতলায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কবি খালেদ মাহাবুব মোর্শেদ খোকনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রভাষক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুল করিম, সিনিয়র শিক্ষক গফুর আলম, বড় মহেশখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা কামাল উদ্দিন, শিক্ষার্থী সরওয়ার উদ্দীন সৌরভ ও রোহান।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগে বিজয় মিছিল শেষে রাতে গোরকঘাটা হতে বড় মহেশখালীস্থ বাড়ি ফেরার পথে একদল দূর্বৃত্ত রাস্তায় পথরোধ করে উপজেলা বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফি'র উপর হামলা চালায়। এসময় শফি মারাত্মক ভাবে আহত হলে তাকে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ১৩ আগস্ট শফি মৃত্যু বরন করেন। মরহুম শফি'র পিতা কামাল পাশা বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় গত ১৮ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদকে আসামী করায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের জনপ্রিয়তায় ঈর্সান্বিত হয়ে এবং তাকে ঠেকাতে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল শফি হত্যা মামলায় আলমগীর ফরিদকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আসামী করেছে।
বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদকে উক্ত হত্যা মামলায় আসামী করায় তারই হাতেগড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ, মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল, বড় মহেশখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এতে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায়। তাদের সাথে যোগ দেয় সাধারণ মানুষও।
এসময় বক্তারা বলেন- "আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করেন। তিনি একজন সফল রাজনৈতিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি। তিনি বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য। মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপজেলার সর্বত্র তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া দৃশ্যমান। মহেশখালী-কুতুবদিয়ার জনপদে তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তি। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও তিনি একজন মহান শিক্ষক। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করে। কিন্তু তাঁর হাতেগড়া ছাত্র শফিউল আলম শফি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিএনপি'র রাজনীতিতে আসেন। শফির মৃত্যুতে সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদ খুবই ব্যতিত হয়েছেন। তিনিও দোষীদের শাস্তি চান।
বক্তারা আরো বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলকে পূঁজি করে, আওয়ামী লীগের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য আলমগীর ফরিদকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামী করা হয়েছে। বক্তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দায়েরকৃত হত্যা মামলা থেকে অনতিবিলম্বে আলমগীর ফরিদকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সাথে শফি হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।