নিজ অফিস এলাকায় দালালবিরোধী অভিযান চালিয়েছেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। এসময় নামজারির কথা বলে সেবাগ্রহীতার কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগে একজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) বেলা ২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জানে আলম। তিনি নগরের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বলেন, আজ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এক সেবাগ্রহীতাকে নিয়ে আমার অফিসে আসেন। সেবাগ্রহীতা হাসিনা মমতাজ সরকারি ফি’র বাইরে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নামজারি করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তখন জানে আলমকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তাকে জরিমানা করে মুচলেকা নেওয়া হয়। জানে আলমের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে ও মানবিকতার কথা বিবেচনা করে তাকে জেল জরিমানার মতো কঠোর শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
নিজের অফিস দুর্নীতিমুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব সেবাগ্রহীতার জন্য আমার অফিস উন্মুক্ত। দালাল ধরতে আমার অফিসের বাইরে অবস্থিত বিভিন্ন চা ও কম্পিউটার দোকানে আজ অভিযান পরিচালনা করি। এতে অনেক দালাল টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পাশাপাশি দোকানিদের সতর্ক করা হয় তারা যাতে দালালদের সহায়তায় নিযুক্ত না হয়, পাশাপাশি দালালদের আনাগোনা থাকলে বিষয়টি যেন আমাদের অবহিত করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, চট্টগ্রাম জেলার ভূমি অফিসগুলোতে সেবাপ্রার্থীরা সরাসরি যেন সেবা নিতে পারেন, সেজন্যে এসিল্যান্ডরা অফিস কক্ষের বাইরে এসে শুনানি নিচ্ছেন। সেবাগ্রহীতারাও এ কারণে অনেক খুশি। দালালদের খপ্পর থেকে সেবাগ্রহীতাদের রক্ষার জন্য ভূমি অফিসগুলোতে অনেক তথ্যসহ বিলবোর্ড দেওয়া আছে, যাতে সেবাপ্রার্থীরা সচেতন হয়। দালালমুক্ত পরিবেশে সেবা নিশ্চিত করতেই আমাদের সব উদ্যোগ কার্যকর করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ভূমি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর আগেও দালাল ও দুর্নীতিবাজদের অনেককেই জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও উপজেলা ও মহানগরের সব ভূমি অফিস দালাল ও দুর্নীতিবাজমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।