আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারী বৃষ্টির শঙ্কা, বাড়তে পারে চট্টগ্রামের সব নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২০ জুন ২০২২ ০৫:৩০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

উজানে প্রচুর ভারী বৃষ্টির কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এদিকে আজ দেশের ৯ নদীর ১৯ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের মেঘালয় প্রদেশে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে এসেছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে হবিগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা ওপরে অবস্থান করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলায়। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, ঘাঘট, সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, পুরাতন সুরমা এবং সোমেশ্বরী নদীর ১৯ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে সারিগোয়াইন, খোয়াই, পুরতন সুরমা ও কংশ নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা আছে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টের পানি। সেখানে পানি বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া পয়েন্ট এবং পুরাতন সুরমার দেরাই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ২৪২ মিলিমিটার। এছাড়া টেকনাফ পয়েন্টে ১৪৬, ফেনীর পরশুরামে ১৭৫, রাঙামাটিতে ১৫৫, কুমিল্লায় ১০০, বান্দারবানে ৯৫, বান্দরবানের লামায় ৮১, চট্টগ্রামের নারায়ণহাটে ৯২, পাচপুকুরিয়ায় ৯০, কক্সবাজারে ৮৮, বগুড়ায় ৮৫, বরিশালে ৮৩, নওগাঁর আত্রাই এবং সিলেটে জাফলং ও লালাখালে ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। 

এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে সর্বোচ্চ ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অরুণাচলের পাসিঘাটে ৬৪ এবং ত্রিপুয়ার আগরতলায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়