দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪ টি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেখানে দলীয় প্রার্থী ২৫ ও স্বতন্ত্র ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন। তবে দেরিতে যাওয়ায় ৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন নি। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা হট্টগোল করেছে।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, স্বতন্ত্র জাফর আলম, জাফর আলমের পুত্র তানভির আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টি (জেপি) এ এইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরী স্বপন মিয়াসহ আরো ৫ জন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক, বিএনএমের শরীফ বাদশাহ, বিএসপির খাইরুল আমীন, এন পি পির মাহাবুবুল আলম, জাকের পার্টির মো: ইলিয়াছসহ ৭ প্রার্থী।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমল, কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ তারেকসহ ৬ জন।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন আকতার, জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টু, স্বতন্ত্র সোহেল আহমেদ বাহাদুর, তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব, ইসলামী ঐক্য জোটের ওসমান গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসহাক, এনপিপির ফরিদ আলম ও নুরুল বশরসহ ৯ জন।
মনোনয়নপত্র জমা প্রদান শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এদিকে, এমপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল।
কমিশনের নির্ধারিত সময় বিকাল ৪ টার পরে মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করতে যাওয়ায় ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি রিটার্নিং অফিসার। এনিয়ে কিছুক্ষণ হট্টগোল হয়। পুরো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৪ টার পরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে উপস্থিত হন এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। কিন্তু কমিশনের নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় মনোনয়নপত্র গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ নিয়ে সাধারণ সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা করে। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হয়।