বৈষম্যমুক্ত কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি গঠন ও এম আর পি বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন কক্সবাজার হাসপাতাল সড়কের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, বিগত সময়গুলোতে হাসপাতাল সড়কের ওষুধ ব্যবসায়ীরা নানাভাবে বিভেদ ও বৈষম্যের শিকার। জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এমআরপি বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে না। সমিতির অর্থ দীর্ঘদিন ধরে লুটেপুড়ে খাচ্ছে। জবাবদিহিতার বাইরে থাকে নেতৃবৃন্দ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সুবাদে দেশের সর্বস্তরে পরিবর্তন এসেছে। এবার ওষুধ সেক্টরেও পরিবর্তন করতে চান ব্যবসায়ীরা।
এসব দাবিতে শনিবার দুপুরে (৩১ আগষ্ট) কক্সবাজার হাসপাতাল সড়ক ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমিতির আহবায়ক এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- মীর আব্দুল মালেক জাকির, আবদুর রহিম, অসীম চৌধুরী, আলহাজ্ব বদিউল আলম, আশরাফুল আজিজ, রফিক আহমদ ডালিম।
মোস্তাক আহমদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ওষুধ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির শিকার হন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। অভিযানের নামে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। হয়রানি থেকে মুক্তি চান ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়কের ওষুধ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইন সভাপতি ও আশরাফুল আজিজকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে যারা রয়েছেন তারা হলেন, মীর আব্দুল মালেক জাকির, অসীম চৌধুরী ও আবদুর রহিম সহ-সভাপতি, মোস্তাক আহমদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিখিল দাশ কোষাধ্যক্ষ।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, বদিউল আলম, মোঃ ইউনুস, মোহাম্মদ ফোরকান ও নিউটন কান্তি দাস।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের সার্থ সংরক্ষণ ও সমিতিকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন কমিটির নেতৃবৃন্দ।