চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এ সরকারের আমলে মেগা প্রকল্পসহ দেশের প্রত্যেকটি বড়-ছোট প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। সারাদেশের ন্যায় এখানেও মডেল মসজিদ নির্মাণসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে কয়েকটি মডেল মসজিদ দৃশ্যমান হলেও বিভিন্ন উপজেলায় আরও কিছু মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে মডেল মসজিদগুলোর অসমাপ্ত কাজ নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। যে সকল মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য এখনো জায়গা নির্ধারণ হয়নি সেগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে হবে।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিব চর্তুদশী মেলা ছাড়াও সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মন্দির দর্শনে যেতে পুণ্যার্থীদের অনেক সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা-নামা করতে হয়। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। মেলা চলাকালীন লাখো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। এই চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাতায়াতের বিষয়টি আরও কিভাবে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে এগিয়ে আসাতে হবে। সমাজসেবা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো করতে হবে।
ডিসি আরও বলেন, যে সকল সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। জেলা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলায় যাচ্ছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী (চন্দনাইশ), হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), মোতাহের হোসেন (পটিয়া), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী) মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), সম্রাট খীসা (সন্দ্বীপ), শাহাদাত হোসেন (সীতাকুণ্ড), সাব্বির রাহমান সানি (ফটিকছড়ি), মো. শাহিদুল আলম ( হাটহাজারী), আবদুস সামাদ সিকদার রাউজান), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), মো. আতিকুল মামুন (পটিয়া), নাছরীন আক্তার (চন্দনাইশ), ফাতেমা তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্লাহ (লোহাগাড়া), জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলম, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন, পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. আবু বকর সিদ্দীকী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার।