বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধি এবং জ্বালানি চাহিদা ও জোগানে উন্নত-অনুন্নত বিশ্বের সকল দেশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তাই বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানি নিরাপত্তায় জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন-প্রসার, জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার ও উন্নয়ন, জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘গণপ্রকৌশল দিবস-২০২২’ উপলক্ষে সোমবার (৭ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আইডিইবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি’।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দৈনিক ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট হয়েছে। দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ২০০৯ সাল হতে জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ২১টি অনুসন্ধান, ৫০টি উন্নয়ন ও ৫৬টি ওয়ার্কওভার কূপ খননের ফলে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি।
জ্বালানি চাহিদা পূরণে পায়রা বন্দরে ফ্লোটিং স্টোরেজ রেজিস্ট্রেশন ইউনিট (এফ এস আর ইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়িতে দৈনিক ১০০০ ঘনফুট ক্ষমতার ১টি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকার জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি আইডিইবি’র সদস্য প্রকৌশলীগণ টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিরাপত্তায় সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জোরালো ভূমিকা রাখবেন।