৩ দিনের ছুটি পেয়ে পর্যটকদের গাড়ির ঢল নামে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে। দেশের সর্বাধিক পরিচিত ৩টি বিনোদন কেন্দ্র কক্সবাজার, বান্দরবান ও পারকি বিচের যাতায়াতের মহাসড়ক এটি।
এছাড়াও ছুটি পেয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ বাড়ি ফিরেছেন ফলে গাড়ি সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুন, সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট। সকাল ৯ টার পর থেকে যানজট ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। ঘড়ির কাঁটা যখন ১০ টার ঘরে তখন আর গাড়ির চাকা ঘুরেনি। টাই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মহাসড়কের যানগুলো।
বান্দরবান, কক্সবাজার ও আনোয়ারা পারকি বিচগামী খোলা ট্রাকগুলোতে উচ্চ আওয়াজের সাউণ্ড সিষ্টেমের কারণে পুরো মহাসড়ক নরকযন্ত্রণায় পরিণত হয়।
এদিকে মইজ্জ্যারটেক পয়েন্টের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই.) ফরহাদুজ্জামানের নেতৃত্বে নিজস্ব ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ছাড়াও কর্ণফুলী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা গিয়েছে।
এসময় উনার সাথে কথা বলে জানা যায়- নগরীর নতুন ব্রীজের বশিরুজ্জামান পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে শান্তিরহাট ও ফকিরনিহাট পযর্ন্ত এ যানজটে পড়ে।
কথা হয় নগরীর দেওয়ানহাট থেকে কক্সবাজার আনন্দ ভ্রমণে যাওয়া মহিদুল ইসলাম নামের যাত্রীর সাথে তিনি জানান "আনন্দ ভ্রমণের উদ্দেশ্য কক্সবাজার রাওনা হলেও বিজয়ের আনন্দ পথে কাটাতে হচ্ছে, সারা রাস্তায় যানজট। গাড়ির চাকা ঘুরচ্ছে না"।
শিকলবাহার মাস্টার হাটের বাসিন্দা মির্জা হারুন বলেন- কর্ণফুলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ. জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ এর শহীদ মিনারে পুষ্পক অর্পন কর্মসূচীতে যোগ দিতে বের হয়ে মইজ্জ্যারটেকে প্রচন্ড যানজট বাধ্য হয়ে গ্রামের বিকল্প রাস্তা দিয়ে শিকলবাহা চৌমুহনী পর্যন্ত রিকশা যোগে এসে বাকী পথটুকু পায়ে হেঁটে কলেজ বাজারের অনুষ্ঠানস্থলে আসি।
মইজ্জ্যারটেক চত্ত্বরে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় দাড়িঁয়ে থাকতে দেখা যায় শত শত যাত্রীকে।
মহাসড়কের যানজট ভোগান্তিতে পড়ে এ্যাম্বুলেন্স এর রোগী, দূরপাল্লার গাড়িতে থাকা নারী ও ছোট্ট শিশুরা।