আজ শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

বিজয় দিবসে আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

 

৫১ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা, বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সিরাজ কলোনীর প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব মুহাম্মাদ আলাউদ্দীনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দৈনিক আমার বার্তা পএিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় পরিচালক সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মোরশেদ আলম, এডভোকেট নঈম উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেখতে দেখতে ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে বিজয়ের। এবছর বাঙালিরা উদযাপন করছে বিজয় অর্জনের ৫২ তম জন্মদিন। এই বিষয়ে অর্জন করতে বাঙ্গালীদের কি পরিমাণ তাজা প্রাণ আর মা-বোনেদের ইজ্জত ও সম্ভ্রম বলে দিতে হয়েছে তা ইতিহাস ঘাটলেই পাওয়া যায়। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এ ধরনের বিজয় লাভের ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়। যে বাঙালিরা মননে মগজে সহজ সরল, হৃদয় ছিল না যাদের সামান্য কুটকৌশল তারাই মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। আর হয়তোবা আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলশ্রুতিতেই অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাইতো বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের বাঙালিরা মেতে ওঠে নানান উৎসবে।আজকের দিনে স্মরণ করতে হয় বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথা তিনি দেশের জনগণের জন্যই শাসনতন্ত্র তৈরি করেছিলেন।আর বঙ্গবন্ধু শুধু দেশকে প্রতিষ্ঠা ও শত্রুমুক্ত করে যাননি; মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা- অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কতটা জনকল্যাণমুখী ছিলেন বর্তমান সময়েও আমরা তা ভেবে অবাক হয়ে যাই।জাতির জনক চিন্তা-চেতনা আমাদের চিন্তা-চেতনার চেয়ে বহুগুণে অগ্রসর ছিল। বঙ্গবন্ধু তখন একটা রেফারেল সিস্টেমের কথা বলেছিলেন। প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ডে একজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। যে স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেবেন। অসুস্থ লোক থাকলে তাকে চিহ্নিত করে ইউনিয়ন সাব সেন্টারে নিয়ে যাবেন। সেই ইউনিয়ন সাব সেন্টারে একজন ডাক্তার থাকবেন, একজন নার্স থাকবেন, একজন প্যারামেডিক থাকবেন এবং সেখানে রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করতে না পারলে রোগীকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাবেন।থানা কমপ্লেক্সে রোগী সুস্থ না হলে তাকে মহকুমা হাসপাতালে বা জেলা হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এভাবে একটি রেফারেল সিস্টেমের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। জাতির জনক বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন সাবজেক্ট, সাবস্পেশালিস্ট সাবজেক্ট পর্যন্ত চালু করেছেন। প্রফেসরের পদ তৈরি করেছেন।তাই আগামী প্রজন্মের জন্য নিরোগ ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।আমরা জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য জনসচেতনতা তৈরি ও প্রতিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহান বীর শহীদদের স্মরণ করে চট্টগ্রাম ফেনী ঢাকায় বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। দেশের প্রত্যেকটি ডাক্তার যদি রোগীদের কল্যাণ চিন্তা করে তাহলে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা খুব সহজ। আগামীর দিনগুলোতে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,ফেনী জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা.মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, মাস্টার পারভিন আক্তার,মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।


সবচেয়ে জনপ্রিয়