বাঁশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে লেয়াকত আলীর কাছ থেকে ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ০২টি কাটা একনলা বন্দুক, ০১টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ (বাহাত্তর) রাউন্ড গুলি, ২৬(ছাব্বিশ)টি কাতুর্জ, ০৫টি চাইনিজ কুড়াল, ০১টি কিরিচ, ০৬টি কাঠেরবাটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০(চল্লিশ)টি বিভিন্ন সাইজের গইট্টা (লাঠি)সহ গ্রেফতার ০১জন।
বাঁশখালী থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৫/০২/২০২৪খ্রি:, ধারা-১৪৩/১৪৮/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩৮৫/৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড; সংক্রান্তে এজাহারনামীয় আসামী ১। মোহাম্মদ লেয়াকত আলী (৫২), পিতা-মৃত দুদু মিয়া, সাং-গন্ডামারা, ১নং ওয়ার্ড, খামার পাড়া, ৯নং গন্ডামারা ইউপি, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম এর মামলা তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার ১নং আসামীসহ অপরাপর আসামী ঢাকায় অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদটি উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে অবহিত করিলে তাহাদের পরামর্শে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি, ডিএমপি ঢাকা’কে উক্ত মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অধিযাচনের প্রেক্ষিতে অনুরোধ করে। উক্ত অনুরোধের প্রেক্ষিতে গত ০৭/০২/২০২৪খ্রি: অনুমান সন্ধ্যা ১৯:১০ ঘটিকার সময় ঢাকা ডিবি কতৃর্ক ঢাকা ফকিরাপুল মতিঝিল এলাকা হইতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে আমাকে অবহিত করিলে আমি উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পযার্প্ত অফিসার ও ফোর্সসহ বর্ণিত আসামীকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করার নির্দেশ প্রদান করি। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। ঢাকা ডিএমপির ডিবি কাযার্লয়ে উপস্থিত হইয়া আইনগত যথাযথ নিয়ম অনুসরন করিয়া উক্ত মামলার আসামী মোহাম্মদ লেয়াকত আলী (৫২)কে হেফাজতে নিয়া রওয়ানা করিয়া থানায় আসিয়া হাজির হন। আমিসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জনাব মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সোহানুর রহমান সোহাগ, আনোয়ারা সার্কেল, চট্টগ্রামদের সমন্বয়ে বর্ণিত মামলার আসামী মোহাম্মদ লেয়াকত আলীকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে উল্লেখিত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাহার নিকট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি মজুদ আছে মর্মে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। যাহা দ্বারা বাঁশখালী থানা এলাকাসহ গন্ডামারা ইউনিয়নে জমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত আসামীকে তাহার নিকট বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি মজুদ থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে একেক সময় একেক কথা বলে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিলে জিজ্ঞাসাবাদের একপযার্য়ে সে স্বীকার করে যে, তাহার নিজ বসত বাড়ীর বিল্ডিং ঘরের বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকায়িত আছে। এরই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জনাব মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সোহানুর রহমান সোহাগ, আনোয়ারা সার্কেল, চট্টগ্রামদের নেতৃত্বে জনাব তোফায়েল আহমেদ, অফিসার ইনচার্জ, বাঁশখালী থানা, চট্টগ্রাম পর্যাপ্ত অফিসার ও ফোর্সসহ ধৃত আসামী মো: লেয়াকত আলী (৫২)কে সঙ্গে নিয়ে তাহার বসত বাড়ী বাঁশখালী থানাধীন গন্ডামারা ইউপিস্থ ১নং ওয়ার্ড, খামার পাড়া উপস্থিত হইয়া তাহার বাড়ীর চারদিকে ঘেরাও করিয়া সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীর বসত বিল্ডিং ঘর তল্লাশীকালে বসত বিল্ডিং এর বিভিন্ন কক্ষে লুকায়িত ১। ০৫(পাঁচ)টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২। ০২(দুই)টি বিদেশী পিস্তল, বিভিন্ন সাইজের ৭২ (বাহাত্তর) রাউন্ড আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি, ২৬(ছাব্বিশ)টি কাতুর্জ, ০২টি দেশীয় তৈরি কাটা একনলা বন্দুক, ০১(এক)টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ০৫(পাঁচ)টি চাইনিজ কুড়াল, ০১(এক)টি কিরিচ, ০৬(ছয়)টি কাঠেরবাটযুক্ত ধারালো রাম দা, ৪০(চল্লিশ)টি বিভিন্ন সাইজের গইট্টা (লাঠি) যাহা বিশেষভাবে তৈরি ও সামনের অংশ সুচালো পাইয়া সাক্ষীদের মোকাবেলায় ০৮/০২/২০২৪খ্রি: তারিখ রাত ২২.৫০ ঘটিকার সময় বৈদ্যুতিক আলোতে বাদী জব্দ করেন। এ সংক্রান্তে এসআই(নি:) নুর এ হাবিব ফয়সাল বাদী হইয়া এজাহার দায়ের করিলে বাঁশখালী থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-০৯/০২/২০২৪খ্রি:, ধারা-19A/19(f), The Arms Act, 1878; রুজু হয়।
উল্লেখ্য যে, তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, পুলিশ আক্রান্ত, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭২ সালের অনুচ্ছেদ-৭৩(২খ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ধারাসহ সর্বমোট=২১টি মামলা তদন্তাধীন/বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছ।