আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১১ মে ২০২২ ০৪:০৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই শ্রীলঙ্কার মতো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে ক্ষমতার এসে তারা আবার দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু জনগণ তাদের সঙ্গে নেয়। জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আছে। জনগণ জানে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। কারণ তিনি জনগণকে যা প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবায়ন করে দেখান।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগবোট, ছয়টি হাইস্পিড বোট এবং নারায়ণগঞ্জের ডিইডব্লিউ নির্মিত একটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অব সি (সমুদ্রের অভিভাবক) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র সম্পদের ভান্ডার আমাদের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এসব বোট হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

এ সময় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে এসব বোট নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম সামছুল আজিজ এতে সভাপতিত্ব করেন।

টাগবোটগুলো সাড়ে ৩ হাজার টন ওজনের যেকোনো জাহাজের বার্থিং/আন বার্থিং, টোউ, পুশ/পুল অপারেশন ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং, অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতা, ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার অভিযান ইত্যাদি জরুরি কাজ সম্পাদনে ব্যবহৃত হবে।