বাঁশখালীতে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল (সোমবার) দুপুরে জালিয়াঘাটাস্থ এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর, দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও তাদের আহত করার অভিযোগ করা হয়। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী অধ্যাপক আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, এমপি কন্যা ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা রওকত নুর প্রিয়াতা, আবদুল হোসেন ভুট্টো, টুটুন চক্রবর্তি প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে এমপির মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর উপর উত্তর সরল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে হামলার বর্ণনা দেয়া হয়। এসময় এমপি কন্যা রওকত নুর প্রিয়াতা বলেন, আমার বাবার উপর হামলা হলে আমি প্রশাসনকে ম্যাজিষ্ট্রেটকে বার বার অনুরোধ করেও আমার বাবাকে উদ্ধার করা হয়নি। স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেয়ায় আমার বাবা ভেতরেও ঢুকতে পারেনি।
অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেন, আমরা অনেক নির্বাচন দেখেছি, নির্বাচন করেছি। হার জিত থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা, ওলামা লীগ নেতা মাওলানা আকতারসহ কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। তারা বিএনপি জামাতের ইন্দনে নৌকাকে হারাতে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা আরো তথ্য উপাত্ত নিয়ে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা হবে বলেও জানান সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আহত এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলেও অসুস্থ হওয়ায় তিনি কোন কথা বলতে পারেননি।