দেশের বন্দরগুলো থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি। সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল।
গতকাল এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১৪শ কিলোমিটার দূরে আছে বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজ সকালে সেটি আরও দূরে সরে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫শ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় সংস্থাটি। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, গতকালকের তুলনায় দেশের সবগুলো বন্দর থেকে দূরে সরে গেছে নিম্নচাপটি।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম সমুদ্রবন্দরগুলোর সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিম্নচাপটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তবে মঙ্গলবার সকালে এটি দূরত্ব বাড়িয়ে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
শাহীনুল ইসলাম বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিম্নচাপের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।