চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ৭ই জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের চিরাদিয়া ঘেরের জমিনের মালিকদের দেওয়া সোর্সের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের কে গ্রেফতার করেন। বড় মহেশখালীর কিশোরী রেখা মনি বাঁশখালীর বোনের বাড়ী থেকে গত ৫ই জানুয়ারী রাতে এসে বদরখালী স্টেশনে নেমে যায়। ঐ কিশোরীর পিছু নেয় বদরখালীর শতাধিক অপরাধের কারিগর ৫/৬ জন বখাটে যুবক। মেয়েটিকে সেখান থেকে অপহরণ করে ব্রীজের পাশে প্যারাবনের নিয়ে ১ ঘন্টা যাবৎ পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা সাথে ভাইরাল হয়। এমনকি ঘটনার পরদিন গত ৬ই জানুয়ারী বদরখালীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনতা তাদের গ্রেপ্তারের মানববন্ধন করার পর অভিযুক্তদের ২ অভিভাবক কে আটক করেন থানার পুলিশ।
বিএনপি নেতা বুলবুল সিকদারের নেতৃত্বে রাতে ধাওয়া করলে বখাটে যুবক সজিব, তাজুল ও ছোটন বদরখালী - মহেশখালী নদী পার হয়ে শাপলাপুরের প্যারাবনে ডুকে যায়। ৭ জানুয়ারী ভোরে এসব অপরাধীরা গিয়ে চিরাদিয়া ঘোনায় উঠে। তখন সেখানে কর্মরত শাপলাপুরের কয়েক জন শ্রমিকের সন্দেহ হলে বিষয় টি তাৎক্ষণিক ভাবে ঘেরের জমিনের মালিক শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক চৌধুরী সহ অন্যান্য শরীকদারদের অবগত করেন।
এ সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক চৌধুরী সহ অন্যান্য শরীকদাররা বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে বদরখালীর বুলবুল সিকদার সহ প্রশাসনকে অবগত করেন। পুলিশ প্রশাসন এবং বুলবুল সিকদার ও ঘেরের জমিনের মালিকদের নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সকালে উক্ত ঘের থেকে তাদের আটক করে। সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এসব অপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে মহেশখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে মানববন্ধন। এদিকে চকরিয়া থানার ওসি মনজুরুল কাদের গ্রেপ্তারের বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন।