‘৭ই মার্চের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিএনপি-জামায়াতক্ষমতায় থাকাকালে বাঁজাতে দেয়নি। সে ভাষণকে জাতিসংঘ বিশ্বের সেরা ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান কোথাও যুদ্ধ করেনি। সে ছিলো ভীতু প্রকৃতির। যুদ্ধ চলাকালে সে পেছনে পলায়ন করতো। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীণতার প্রথম ঘোষণা দেয় এমএ হান্নান। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর থেকে সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে জীবনবাজি রেখে গেরিলা যোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে। অথচ যুদ্ধ পরবর্তীতে তাদের কোন খেতাব দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী পেলো বীর উত্তম, বীর প্রতীক, বীর শ্রেষ্ঠ আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার হয়েছে বীর অধম। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি আরো বলেন, মিরসরাই-সীতাকুÐের জনগণ শুভপুর ব্রিজ ও সড়কে ব্যারিকেড না দিলে ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তানি সৈন্যরা চট্টগ্রাম পৌঁছে যেত। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে যৌথভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে শহর দখল করে ফেলতো। এর ফলে বড় একটি গণহত্যা থেকে রক্ষা পেয়েছিল চট্টগ্রামবাসী। মেলায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। না হলে এমবিএ পাশ করে সাহেব হওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠলে কেউ চাকুরী পাবেনা। এসএসসি পাশের পর হাতে কলমে কাজ শিখতে হবে।’ আলোচনা সভায় জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজীর সভাপতিত্বে মানারাত চৌধুরী বাবু ও জাহিদুল ইসলাম সুজনের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন রাশেদ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন মাহমুদ, মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফুল এহসান শাহ। এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, বারইয়ারহাট পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর আলম মাসুক সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার পূর্বে মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করে। গত ২২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।