মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে ফের দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় গোলা দুটি পড়ে বলে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি স্থানে মায়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সেই যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয়। এছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০-৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। এ সময় বাংলাদেশের সীমানা পিলার ৪০ এর আনুমানিক ১২০ মিটার অভ্যন্তরে গোলা দুটি পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার অংশের ২ বিজিপির তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি করা হয়। এখনো মিয়ানমারের মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোববার দুটি এবং বৃহস্পতিবার একটি মর্টারশেল এসে পড়েছে। সর্বশেষ শনিবার সকালে আবারও দুটি বিমান থেকে ছোড়া গোলা দেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছে। পাশাপাশি দুটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে টহল দিতে গেছে। এতে সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যৎছড়ির বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল ওই দুটি মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করেন। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের মিয়ানমার সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।