ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে জোর পূর্বক একটি দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকাল ১০টায় সুন্দর শাহ আওলিয়া মাজারের দক্ষিন পার্শে শাহ সুন্দর পাড়ার এই ঘটনা ঘটে।
২২ অক্টোবর (রবিবার) এ ব্যাপারে মানিকপুর মৃত আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে বখতিয়ার হোসেন প্রকাশ নাসিম, দক্ষিন কাঞ্চননগর করম আলী তালুকদার বাড়ির বদিউল আলম তালুকদার, তার ছেলে মোজাম্মেল তালুকদার, শাকা তালুকদার, মৃত আহম্মদ গনির ছেলে ফিরোজ ও গোলাব মুস্তাফাকে বিবাদী করে কাঞ্চননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷
অভিযোগে দোকান ঘরের মালিক নাসিম জানান, বিগত ৭/৮ বছর যাবত দোকানে ব্যবসা করে আসছি। আমার অনু-পস্থিতিতে হঠাৎ শনিবার সকাল ১০ টায় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-সস্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দোকান ঘর ভাংচুর করে। আমার দোকানে থাকা মালামাল তচনচ করে পেলে। দোকানে থেকে একটি টিভি, মোবাইল সেটসহ প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার মালামাল গাড়ী করে নিয়ে যায়৷ পরে আমি বাগান থেকে কাজ সেরে আসার পর দোকান ঘর ভাঙ্গা ও তচনচ অবস্থায় দেখে অভাক হয়ে যায়৷ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়৷ তিনি আরো জানান, আমি স্ত্রী ও ৩ পুত্র সন্তান নিয়ে এখন অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছি৷ অভিযুক্তরা বিএনপির দাপট দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-দমকী দিয়ে যাচ্ছে। সুষ্টু বিচার দাবী করছি।
প্রত্যক্ষদর্শী পার্শ্ববর্তী দোকানদার আবুল বশর বলেন, হঠাৎ করে সিএনজি ও মোটর সাইকেল করে দা-খন্তা নিয়ে একজন মুরব্বীসহ বেশ কয়েকজন লোক এসে ১০ মিনিটের মধ্যে দোকানটি ভাংচুর করে চলে যায়। তাদেরকে দোকানের পার্শ্ববর্তী গাছ গুলো না কাটতে অনুরোধ করলেও তারা তা মানেনি।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোজাম্মেল তালুকদার জায়গাটি তাদের বাদী করে বলেন, বখতিয়ার ২০২০ সালে আমাদের কাছ থেকে জায়গাটি প্রতি বছর ২ হাজার টাকায় খাজনায় ভাড়া নেয়৷ ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের জায়গায় পাকা দোকান নির্মান করব তাই এটা সংস্কার করার জন্য ভেঙ্গে পেলেছি৷ এছাড়াও টাকা নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজি আইয়ুব বলেন, এভাবে দোকানঘর ভাংচুর করে তারা অন্যায় করেছে৷ বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছি। আগামী মঙ্গলবার এ ব্যাপারে পরিষদে বৈঠক হবে বলে জানান তিনি।
