আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ জনের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৪:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়িতে বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও পাড় কেটে মাটি বানিজ্যে তৎপর একাধিক সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের থাবার শিকার হয়ে বিগত অর্ধবছরে হালদার পাড় বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় ইটভাটিগুলোতে বালু মিশ্রিত  মাটির বিশেষ কদর ও  হালদা নদীর বালুর দানা মোটা হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকদের কাছে বেশ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় তা চড়া দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা এসব সিন্ডিকেটগুলো দিনদিন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনছে।  এসব অবৈধ বালু খেকো ও মাটি সিন্ডিকেটের কবল থেকে হালদাকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। তবুও থেমে নেই বালু খেকো সিন্ডিকেটগুলোর অপতৎপরতা।  

 

গত শুক্রবার সকালে নাজিরহাট পৌর সভার ৯ ওয়ার্ডে মতিউর রহমান শাহ বাড়ির পাশে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় হালদা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে আব্দুল জব্বার, ওলিউল্লাহ, মো. খোকন এবং আব্দুল মতিন নামে চারজনকে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী। অভিযানে সহযোগিতা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর, ফটিকছড়ি থানার এসআই ওমরা খানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

 

স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সোলাইমান জানান, নাজিরহাট পৌরসভার মতিভান্ডারের পাশে হালদা নদী থেকে চারজন ব্যক্তি নৌকায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় তাদের মতিগতি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের বালু উত্তোলনের মেশিনসহ একটি নৌকা আটক করে আমাকে জানায়। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

 

ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  নাজমুল ও ওমরা খান জানান, জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করি। পরে উপজেলা প্রসাশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়। বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা নৌকা মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে কয়েকটি চক্র। আজ একটি চক্রটি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযানে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী চারজনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় মোবাইল কোর্ট।

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারজনকে আটক করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাদের ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। হালদা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।