ফটিকছড়ির পাইন্দং এ ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে অন্য জনের বসতভিটা ও সড়কের পাশ থেকে বৃক্ষ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে ফকিরাচাঁন এলাকার বাসিন্দা করিম বলির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে জায়গার মালিক ইছহাকের পুত্র জাহাঙ্গীর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। গত ২২ নভেম্বর সকাল ৯ টায় দলবল নিয়ে কুঠার, করাত, লাঠিসোটাসহ অতর্কিতভাবে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে ২৫/৩০ বছর আগে রোপিত মেহগনি,আকাশী, ইউকেলক্টার, গামারীসহ ১১টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ তুলে করিম বলির বিরুদ্ধে। এতে জাহাঙ্গীর আলমের প্রায় ২ লক্ষ ৩০হাজার টাকার পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় জাহাঙ্গীর বাঁধা দিতে এলে লাঠিসোঁটাসহ কিল-ঘুষি মেরে তাকে আহত করে। পরে তার বৃদ্ধ পিতা মোঃ ইছহাক(৮৬), নুর নাহার বেগম(৬৯)সহ দুই পুত্র বধুকে মারধরের কথাও উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে মোঃ ইছহাক বলেন, ২৫/৩০ বছর পুর্বে গাছগুলো আমার বন্দোবস্তীর জায়গায় লাগিয়ে ছিলাম। করিম বলি বলছে সেখানে সে জায়গা পাবে। জায়গা পেলে পরিমাপ করে তার জায়গা বুঝিয়ে নিবে। কিন্তু সন্ত্রাসের প্রভাব কাঠিয়ে গাছ কেন কাটতে আসবে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। জাহাঙ্গীরের মাতা নুর নাহার জানান, করিম বলি একজন সন্ত্রাসী। সে বেশ কয়েকবার অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আবার ফিরে এসে মানুষকে হয়রানি করে। আমাদের জায়গা তার দাবি করে জোরপূর্বক গাছগুলো কেটে ফেলেছে। আমরা খুব অসহায় তার কাছে। কোথায় যাব কার কাছে যাব কিছুই জানিনা। সে আমার ছেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, গাছ কেটে টুকরো করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। গাছের ডাল পালা অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ফকিরাচাঁন সড়কের পাশের তিনটি গাছ কোন রকম অনুমতি ছাড়া কেটে ফেলা হয়। এসময় করিম বলি বলেন, এই সড়কের আইডি করেছি আমি ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ করে। এখানে কোন অনুমতি লাগবেনা। অভিযোগের বিষয়ে করিম বলির কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, এই জায়গা আমি ও আমার ভাইয়ের নামে কেনা সম্পত্তি। অনেক বছর আগে আমার বাবা গাছগুলো লাগিয়েছেন। তাই গাছ কেটেছি। তারা থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ বলেছে গাছগুলো যেখানে আছে সেখানে রাখতে। তাই সেগুলো রেখেছি। উল্টো মোঃ ইছহাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ইছহাক এই এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। বিনা কারণে জেল কাটিয়েছে। এখন পরিমাপ করলে তার বাড়ী ভিটার মধ্যে অনেক জায়গা পাব। অভিযোগের বিষয়ে এস আই রুহুল কুদ্দুস বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী ৩রা ডিসেম্বর তাদের জায়গা পরিমাপ করে এই বিষয়টি সুরাহা করা হবে। গাছগুলো কার তদন্ত করে মূল মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হবে।