আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ল্যাব ও অফিস সহকারী

সালাহউদ্দিন জিকু, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম
  • মানছে না মাউশি'র নির্দেশনা।
  • ফটিকছড়ি উপজেলা নতুন শিক্ষাক্রমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ১ হাজার ৯ জন।
  • বিভিন্ন প্রতিষ্টানে শিক্ষক সংকটে এমন হয়েছে বললেন কর্মকর্তারা।

ফটিকছড়ির বেড়াজালী মজিদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার কারিশমাটিক সুপার মাওলানা মো. এজাহারুল ইসলাম কারিশমা দেখিয়ে নতুন কারিকুলামের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ডিসেম্বর এর ১৭ ও ১৮ তারিখ দুইদিন প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি উৎফুল্ল মনে জানালেন কারো আপত্তি থাকলে পরের দিন থেকে তিনি আর নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করবেন না।

 

উপজেলার গোলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখার দুইজন অফিস সহকারী, মির্জাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ল্যাব সহকারী, ড. এনামুল হক একাডেমীর একজন অফিস সহকারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক খন্ডকালিন শিক্ষক ( স্কুলে যোগদানের ছয় মাসের কম) প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

 

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মাউশির  ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম স্কিমের পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বিশেষভাবে উল্লেখ্য করা হয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ তালিকায় কোনোক্রমেই যেনো কোনো কোচিং সেন্টার বা ইআইআইএনবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যেসকল ইআইআইএনধারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি/স্বীকৃতি নেই সেসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত খন্ডকালীন শিক্ষককে প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো যাবেনা। একইভাবে, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ থাকায় উক্ত প্রশিক্ষণে তাঁদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো যাবেনা। অপ্রত্যাশিত কোনো প্রশিক্ষণার্থী থাকলে প্রশিক্ষণের পূর্বেই বাদ দিতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। কিন্তু ফটিকছড়ি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে প্রণীত তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে।

 

উপজেলা মাধ্যমিত শিক্ষা অফিস সুত্র সোমবার বিকালে জানায় এক অফিস সহকারীকে শিক্ষক প্রশিক্ষণ থেকে তাৎক্ষণিক বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানায়, প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে।

 

গোলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী মো. ইউসুফ ও আবু বক্কর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মুঠোফোনে অফিস সহকারী ইউসুফ জানায় শিক্ষক সংকটের কারণে 

প্রতিষ্ঠান প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) অলী আহাদ চৌধুরী তালিকায় আমাদের নাম অন্তভুক্ত করেছেন। এর আগেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

মো. ইউসুফ ও আবু বক্কর কলেজ শাখার অফিস সহকারী স্বীকার করে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান অলী আহাদ চৌধুরী। একই কারিকুলাম প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেছেন মির্জাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী সৈকত দে জয়ও। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীর কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, 'তাঁরা প্রশিক্ষণে এমন কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীদের দেখেছেন যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী ও খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।'

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সেলিম রেজা জানান, ' চলমান শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণে ১ হাজার ৯ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রণীত তালিকা পর্যবেক্ষণ করছি। ইতিমধ্যে একজনকে প্রশিক্ষণ থেকে বাতিল করেছি।'