ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে ১১৫ জন সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। বিগত ৬ মাসে এসব রোগীর মধ্যে সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে। সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে এই হাসপাতাল একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জুন মাসের আগে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ফটিকছড়ি থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হতো, যা রোগীদের জন্য কষ্টকর ও ব্যয় সাপেক্ষ ছিলো। বর্তমানে রোগীরা বিনামূল্যে এই সেবা উপজেলা হাসপাতালেই পাচ্ছেন। এতে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুর পাশাপাশি দুর্ভোগও কমেছে।
জানা যায়, গত ২১ জুন প্রথমবারের মতো ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগী ভর্তি করা শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আরেফিন আজিমের তত্ত্বাবধানে মাত্র ছয় মাসে প্রায় ১১৫জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা পেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এতে উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে হাসপাতালটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন,'সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এন্টিভেনমসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী হাসপাতালে মজুদ রাখা আছে। যাতে কালক্ষেপণ না করে মুহূর্তেই রোগীর চিকিৎসা শুরু করা যায়।’ ডা.আরেফিন আরোও বলেন,
ফটিকছড়ি এলাকায় রাবার বাগান, চা বাগান ও পাহাড়ী অঞ্চল বেশি হওয়ায় সাপে কাটা রোগীর সংখ্যাও বেশি। সাপে কাটা রোগীদের কালক্ষেপণ না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।