ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা বিএনপির সদস্য শফিউল আলম প্রকাশ শফি মেম্বারের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর-লুটপাট এবং এক্সকেভটর দিয়ে গোডাউন গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে নাজিরহাট পৌরসভার চুঁরখাহাট বাজারে এ ঘটনা। পরেরদিন ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম সুয়াবিল এলাকার মৃত রুহুল আমিনের পুত্র মোঃ তৌহিদুল আলম বাদী হয়ে ভূজপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, আমার মৌরশী সূত্রে পাওয়া জায়গায় নির্মিত ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে সার ও অন্যান্য মালামালের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু শফি মেম্বাররা ঘরটি জোরপূর্বক জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এরই অংশ হিসেবে গত ৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে দা, ছোরা, লাঠি, সোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে আমার সার, রড ও সিমেন্টের দোকানে এসে এলোপাতারী ভাবে হামলা চালায়। এসময় দোকানের কর্মচারী বিধান বাবু ও আমার ছেলে ইয়াছিনকে হুমকি-ধমকি দিয়ে মারধর করে। এতে তারা দু'জন মারাত্মক ভাবে আহত হন। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একইদিন রাতে তারা পুনরায় এসে দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। এক্সেভেটর দিয়ে গুদাম ঘর গুড়িয়ে দেয়। গুদামে থাকা মালামাল নিয়ে যায় ও রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়।
অভিযোগকারী তৌহিদুল আলম জানায়, এতে তার ৩৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবী করে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সাহায্য ও বিচার কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিউল আলম প্রকাশ শফি মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের উপর হামলা চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনগন। কারণ তারা অতীতে জনগণের উপর জোর জুলুম করেছিল। তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের সাথে তাদের পরিবারের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সে কারনে আমার উপর হামলা করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে নাজিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক এজহার মিয়া বলেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো নেতাকর্মী অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শফি মেম্বারের বিরুদ্ধে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।