সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ যুক্তিতর্ক চলে।
এদিন আসামি বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও বরখাস্ত ওসি প্রদীপের পক্ষে ৮ জন আইনজীবী যুক্তিতর্ক আদালতে তুলে ধরেন।
প্রথমে লিয়াকতের পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট চন্দন কুমার দাশ যুক্তিতর্ক শুরু করেন। লিয়াকতের পক্ষে আরো ৩ জন আইনজীবী আদালতে সওয়াল-জবাবে অংশ নেন। দুপুরে বরখাস্ত ওসি প্রদীপের পক্ষে তার প্রধান আইনজীবী এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত আদালতে তার যুক্তিতর্ক শুরু করেন।
এসময় আরো তিন আইনজীবী আসামি প্রদীপের পক্ষে আদালতে সওয়াল-জবাবে অংশ নেন। এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত রেখে মঙ্গলবার আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন আদালত।
কাল বুধবার এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত তার অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক শুরু করবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের কার্যক্রম শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচ টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান শুরু থেকেই এই মামলাটি আইনের গতিতে চলছে না। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী র্যাবকে দিয়ে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম ব্রিফিংয়ে জানান পূর্ব পরিকল্পিনা অনুযায়ী ষড়যন্ত্র মূলকভাবে মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে। ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে বাদীপক্ষ তা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীগন তাদের মোয়াক্কেলদের বাচানোর জন্য আদালতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ আসামীকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।