কক্সবাজারের পেকুয়ায় পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মোহাম্মদ আরিফ (৪৬) নামে অপহৃত স্কুল শিক্ষকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলের দিকে অপহৃত শিক্ষক আরিফের বসতবাড়ির আঙিনার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানগেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পরিত্যক্ত পুকুরে এক শিশু
বড়শি ফেলতে গেলে নাকে দুর্গন্ধ লাগে। ঘটনার বিষয়টি দ্রুত শিক্ষকের পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন পরিত্যক্ত পুকুরে গিয়ে বস্তাবন্দি দেখতে পান। দ্রুত ঘটনাটি পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে, ওসি'র নেতৃত্বে পুলিশের একটি পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন। লাশের সঙ্গে ইট বাঁধা ছিল। এই খবর জানাজানি হলে অপহৃত শিক্ষকের হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিক্ষুব্ধ লোকজন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
জানাগেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ অপহরণের শিকার হন। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকার বজল আহমদের ছেলে ও পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষক আরিফের পরিবার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পেকুয়া চৌমুহনী থেকে অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আরিফের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে এই মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত বুধবার পর্যন্ত অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল তার পরিবারের কাছে।
হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদুল ইসলাম বলেন, জায়গাজমির বিরোধের কারণে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর ভাইয়েরা আমার ভাইকে অপহরণের পর গুম করে রেখে হত্যা করেছে। হত্যার পর পায়ের সঙ্গে ইট বেঁধে দিয়ে আমাদের বাড়ির আঙিনার পরিত্যক্ত পুকুরে লাশ ফেলে দিয়েছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পরিত্যক্ত পুকুর থেকে শিক্ষক আরিফের লাশটি উদ্ধার করা হয়ছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিন আগে শিক্ষক আরিকেকে হত্যার পর ইট বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।