আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির বাৎসরিক পরিকল্পনা সভা

পাহাড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পুষ্টিহীনতা দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপের পরামর্শ

মোঃআইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩ অগাস্ট ২০২২ ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মা ও শিশুদের পুষ্টির প্রতিশ্রুতি উন্নয়নে পুষ্টির সুশাসন, আচরণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করা এবং মূল্য চেইনের জন্য শক্তিশালী জোট গঠন জরুরী। পুষ্টির পরিষেবার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং জবাবদিহিতা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য সচেতনতার পাশাপাশি তাদের পুষ্টিহীনতার দূর করতে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।  

বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে  রাজস্থলীতে  অনুষ্ঠিত পুষ্টির প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। রাজস্থলী উপজেলা   পুষ্টি সমন্বয় কমিটি, লিডারশীপ টু এনসিওর এডকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) এর উদ্যোগে আয়োজিত বাৎসরিক পরিকল্পনা বৈঠকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে তাদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি শান্তনু কুমার দাশ এর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলাঅং মারমা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। বৈঠকে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লীন প্রকল্পের উপজেলা কর্ডিনেটর সুপন চাকমা,  আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উসচিন মারমা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম  রনি, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজেরুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা ছাবেদুল হক, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, কারিতাস ম্যানজার  সাধন কৃঞ্চ চাকমা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লিলি চাকমা, রাজস্থলী  প্রেসক্লাবে সভাপতি আজগর আলী খান,  অর্থ সম্পাদক আইয়ুব চৌধুরী  সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।  লীনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন  পুষ্টির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। তিনি পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য জোগাড় করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিশ্চয়ই লীনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে, কাগজে কলমে নয়; বাস্তবে পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তিনি এই তৎপরতায় আরো গতিশীলতা আনয়ন করে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার জন্য লীনের প্রতি আহবান জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে লিডারশীপ টু এনসিওর এডকুয়েট নিউট্রিশন (লীন)। মূলত: প্রান্তিক ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির শিশু, কিশোর, গর্ভবতী, ও দুগ্ধদানকারী মা‘দের পুষ্টিহীনতা দূর করতে ২০১৮ সাল থেকে এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়।