নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে জেলার রুমা উপজেলার দূর্গম নতুন রুমানা পাড়া ঘেঁষে পাহাড় কেটে ইটভাটা গড়ে তুলেছে টেক্সটাইল মিলন। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে এস্কেভেটার দিয়ে বিশাল পাহাড় সাবাড় করে বনের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ ইটভাটা।
এস্কেভেটারে আঘাতে কাঁদছে আশে পাশের পাহাড়। পাহাড়ের এই কান্না শুনছেন কি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক। এমন প্রশ্ন ঘুর-পাক খাচ্ছে বান্দরবানের সাধারণ মানুষের মনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রশাসনের অনুমতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই ঠিকাদার ট্রেক্সটাইল মিলন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ইটভাটা গড়ে তোলার কাজ চালাচ্ছে। পবিরেশ অদিদপ্তর ভাটাটির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই বললেও কার্যত কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
সরজমিনে দেখা গেছে, রুমার নতুন রুমানা পাড়াঘেঁষা পূর্ব-দক্ষিণে বিশাল জায়গা জুড়ে জঙ্গল কেটে পুড়ে দিয়েছে। ছোট-বড় তিনটি পাহাড় কেটে কাজ চলছে অবৈধ ইটভাটার। পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি ভরাট হয়ে তিনটি ছড়ার পানির উৎসের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের পাহাড় কাটার দৃশ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে অবস্থান পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডংয়ের পাদদেশ থেকেও সহজে লক্ষ্য করা যায়। ৩৫৮নং রুমা মৌজা ও সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নতুন রুমানাপাড়া ও বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুপপানিছড়াপাড়া-জারুছড়ির সীমান্তে এই ইটভাটার (বিএমএফ) অবস্থান।
এবিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অদিদপ্তরেরসহকারী পরিচালক স্বরুপ মজুমদার দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন ,বিষটি আমাদের নজরে আসছে। আমি আইএনও‘র সাথে কথা বলছি। শিঘ্রই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিলন দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করিনি। অনুমতি বা ছাড়পত্রের বিষয়ে ইটভাটার মালিক মিলন বলেন, অন্যান্য জায়গায় যেভাবে ইটভাটা হয়, সেভাবে করছি। বান্দরবানের নিয়মকানুন তো সবাই জানেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাতে টেক্সটাইল মিলনের বান্দরবানের কক্ষ্যাং পাড়া এলাকার আরেক এফবিএম ইটভাটা থেকে শিকলে বাঁধা ৪ ইটভাটা শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।