আজ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : রবিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৯:০০ পূর্বাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

 

বালুমহাল থেকে অবৈধ চাঁদাবাজির অভিযোগে উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। সরেজমিন তদন্তপূর্বক ২৮ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মোঃ আল-আমিন। প্রতিবেদনে সত্যতা প্রাপ্তি সাপেক্ষে চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (উখিয়া)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গফুর উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম (৩০), মোহাম্মদুল হক (৩০), শাহাব উদ্দিন (২৮), ফরিদ আলম প্রকাশ ভুট্টো (৩৬), আবু ছৈয়দ (৩৫), নুর আলম (৪০) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বে-আইনী জনতাবদ্ধে সিরাজুল মোস্তফার ব্যবসার অফিস কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে। তার বালু ব্যবসায় বাধা প্রদান, জোরপূর্বক অফিস কক্ষের ক্যাশ ড্রয়ার থেকে টাকা নিয়ে ফেলা, চাঁদা দাবি করা, বাদীকে কিল ঘুষি মেরে ফুলা জখম করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৮০/৩৮৫/৫০৬(২) ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়। গত ১৬ জুন মামলাটি দায়ের করেন উখিয়া রাজাপালং এলাকার বাসিন্দা মৃত সিরাজুল কবিরের ছেলে সিরাজুল মোস্তফা। যার সি.আর মামলা নং-২৩৫/২২ (উখিয়া)। মামলায় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা রয়েছে আরও ৬ জন। মামলার এজাহারে বাদী সিরাজুল মোস্তফা উল্লেখ করেছেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তিনি বালুমহাল ইজারা নেন। বালু উত্তোলন কাজ শুরু করলে পরিবহনে বাধা প্রদান ও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে গফুর উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি চক্র। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা প্রশাসনকেও অভিযোগ আকারে জানানো হয়। এরপরও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধরপূর্বক বালু বিক্রির টাকাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সিরাজুল মোস্তফার অভিযোগ, দাবীকৃত চাঁদা না পেলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে জানান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষে নিয়োজিত প্রধান আইনজীবী তাওহীদুল আনোয়ার। তিনি বলেন, 'চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।' স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নামে সরকারি কাজে বাধা, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য মামলা রয়েছে। অপরাধীচক্র লালনের বিষয়েও অভিযোগ রয়েছে এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, 'একটি মামলায় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ৩০ নভেম্বর আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে শুনলাম। তবে, পরোয়ানার কপি এখনো হাতে আসেনি। তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে জানাবো।'